duttapukur
দত্তপুকুর: রবিবার সকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। সেই অভিঘাতে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফেরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি। ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কিন্তু এটাই কি শেষ এমন ঘটনা? নিশ্চিতভাবে তা বলা যাচ্ছে না কারণ এই বিস্ফোরণস্থলের এক কিলোমিটারের মধ্যে খোঁজ মিলেছে আরও একটি অবৈধ ‘বাজি’ কারাখানার। তা নিয়ে এখন উদ্বেগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে তার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে আরও একটি অবৈধ ‘বাজি’ কারাখানা যা মূলত ইটভাটার জন্য ঢাকা পড়ে যায়। অভিযোগ, মোচপোল গ্রামের এক কিলোমিটারের মধ্যে বেরুনান পাকুড়িয়া গ্রামের এই কারখানাতেও বাজি তৈরি হয়। এমনকি এই কাজে দামি দামি যন্ত্রও ব্যবহার করা হত। স্থানীয় বাসিন্দারা এও জানাচ্ছে, এখন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতেই ওই কারখানার সব শ্রমিক পালিয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের শ্রমিকরা বেশি ওখানে কাজ করত বলে খবর। কিন্তু এই কারখানার মালিক কে, সে সম্পর্কে অবহিত নন স্থানীয়রা।
আপাতত বিস্ফোরণের ঘটনার কারণে এলাকা ভীষণ উত্তেজিত। তাই এই কারখানার হদিশ মেলার পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালান। তারা দাবি করেছেন, রোজ এই রাস্তা নিয়ে গেলে বারুদ এবং রাসায়নিকের ঝাঁঝালো গন্ধ আসত। তা থেকে তাদের সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কখনও।