মত্ত অবস্থায় বান্ধবীকে ‘হেনস্থা’ করায় খুন? হরিদেবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক

মত্ত অবস্থায় বান্ধবীকে ‘হেনস্থা’ করায় খুন? হরিদেবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক

কলকাতা: দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে খুন হয়েছে অয়ন মণ্ডল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। আর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও একজনকে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধু ওড়িশার জাজপুরে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারি বেড়ে হয়েছে সাত। আগেই অয়নের বান্ধবী, বান্ধবীর মা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বান্ধবীর বাবা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং এক পণ্যবাহী গাড়ির চালককে। এখন বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের অনুশীলনের সময় বিপত্তি, ট্যাঙ্কের ব্যারেল ফেটে নিহত বাঙালি সেনা

প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ যে, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন অয়ন। কারণ অয়নের এক বন্ধু দাবি করেছে, বান্ধবী এবং বান্ধবীর মা, দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল অয়নের। পরে যে সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন অয়নের বান্ধবীর বাবা। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে এবার আরও এক তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, মত্ত অবস্থায় দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়ি গিয়েছিল অয়ন। সেখানে গিয়ে বান্ধবীকে না পেয়ে বাকিদের সঙ্গে তর্কে জড়ায় সে। বান্ধবী বাড়ি ফিরে এলে অয়ন তাঁকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ।

পরে বান্ধবীর মা রুমা জানা এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে অয়ন তাঁকেও মারধর করেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই বান্ধবীর ভাই দিদিকে বাঁচাতে ইট জাতীয় কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করায় মৃত্যু হয় অয়নের। পুলিশ এও জানতে পেরেছে, পরে অয়নের বান্ধবীর বাবার নির্দেশে তাঁর ভাই দুই বন্ধুকে নিয়ে আসে এবং অয়নের দেহ মগরাহাটে পাচারের সিদ্ধান্ত নেয়। কিছু টাকার বিনিময়ে এই কাজ করতে রাজি হয় তারা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *