প্রাপকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি! অন্য সাফল্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর

প্রাপকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি! অন্য সাফল্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর

5a4b11d2473166fe69324f0cd88fc89c

কলকাতা: রাজ্যের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে প্রাপকের সংখ্যা এক কোটি ছাড়াল। গতকাল এক কোটির বেশি মহিলা আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের ভাতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। এই নিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের খরচ হল ১ হাজার ০৮২ কোটি টাকা। বাকি ৫৮ লক্ষ আবেদনকারীর মহিলার অ্যাকাউন্টে অতি দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী।

নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং কোচবিহার জেলায় উপভোক্তাদের এখনও টাকা দেওয়া যায়নি। নির্বাচন না থাকলে বাকি মহিলাদের অ্যাকাউন্টেও টাকা পৌছে যেত। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটের পর নভেম্বর মাসে এই জেলাগুলির আবেদনকারীরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন। তখন তাঁরা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের টাকাও একসঙ্গেই পেয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। মোট বাজেট বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প ঘোষণা করার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুজোর আগেই যেন বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা পৌছে যায়। সেই মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে সমাজ কল্যাণ দফতর।

এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নথির নিয়মে সরলীকরণ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার নিয়ম আরও সহজ হল৷ নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসাথী, আধার সহ অন্যান্য নথি না থাকলেও আবেদন করা যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে৷ যোগ্য বিবেচিত হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্ত৷ নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোনও উপভোক্তা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড ও জাতিগত সংশাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে তাঁর নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য অনুমোদন করতে হবে৷ প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আগের যে নির্দেশিকা ছিল তাতে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড বা জাতিগত সংশাপত্র থাকলে তবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য অনুমোদন করা হবে৷ কিন্তু দেখা যায় এই নথির গন্ডোগোলে ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ হয়ে রয়েছে৷ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *