Search
কলকাতা: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। এই ইস্যুতে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বাংলার রাজ্যপালের আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী বারবার অভিযোগ করেছেন, একাধিকবার আবেদন সত্ত্বেও রাজ্যপাল আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে সাড়া দেননি। এই প্রেক্ষিতে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। যদিও রাজ্যপালের আইনজীবীর পাল্টা অভিযোগ, প্রকাশ্যে রাজ্যপালকে আক্রমণ করছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। যদিও তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত। (Search)
রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে যে সংঘাত চলছে তার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে ব্যক্তিগত সম্মান বা ইগো ভুলে যেতে হবে, তার কারণ ছাত্রছাত্রীরা। সহযোগিতা না করলে সমস্যার জট কাটবে না, ভুগতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পড়ুয়াদেরই। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সমাধানের পথ দেখিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, নিযুক্ত হয়ে যাওয়া উপাচার্যদের ক্ষেত্রে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে নিয়োগ জট মেটাতে সার্চ কমিটি গঠন করবে তারা। তিনটি আলাদা প্যানেল থেকে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে কোর্ট। রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং ইউজিসিকে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ থেকে ৫ জনের নামের প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে এই কমিটির জন্য।
যদিও বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে জলঘোলা অনেকটাই হয়েছে। বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য। সম্প্রতি কেন রাজ্য সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারেননি, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি ছিল, যে তালিকা তিনি পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ, কারোর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আছে। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।