কলকাতা: কিছুদিন আগেই বোমা বিস্ফোরণের মারাত্মক ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশনে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হয়েছে এক বাংলাদেশিকে। জানা গিয়েছে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে স্টেশন চত্বরে হকার ছিল। ধৃতের নাম শেখ নাসিম। তবে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তার একার হাত আছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো সন্দেহ রয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা মনে করছেন বোমা বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে থেকে স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ওই হকার। ঘুরে বেড়ানোর ছকে আদতে স্টেশনে নিরাপত্তা এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা করছিল সে, এমনটাই অনুমান তাদের। এই মুহূর্তে ধৃতকে জেরা করছে সিআইডির গোয়েন্দারা। আশা করা হচ্ছে, জেরা করার পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা নিয়ে আরো কিছু বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসতে পারে। এখন একটাই প্রশ্ন সকলের মনে, শেখ নাসিম নিজে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে নাকি তার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত। এমনকি কোনও জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার কথা ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে আরও বড় তথ্য হাতে পেতে পারে গোয়েন্দারা বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের তীব্রতা যেমন ছিল তা থেকে আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, এর সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকতে পারে। আহত মন্ত্রী জাকির হোসেনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সরাসরি রেল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তুলে ছিলেন। মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা রেলের এলাকা এবং তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে তারা ব্যাপারটাকে ছোট ভাবে দেখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ঘটনা যাই হোক, প্রত্যক্ষভাবে আসল তথ্য সামনে আসার আগেই বোমাবাজির ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। উল্লেখ্য, যেদিন এই বোমাবাজির ঘটনা হয় সেদিন স্টেশন চত্বরে একটি কালো ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগ সরাতে গিয়ে এই বোমা ফেটে যায়। পরবর্তী সময়ে অনুমান করা হয় যে, রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। এই ঘটনায় মন্ত্রীসহ তাঁর ১৪ জন অনুগামী গুরুতর আহত হয়েছেন।