কলকাতা: ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল নেতা খুনে প্রথম গ্রেফতার। শুক্রবার রাতে কুলতলি থেকে আফতাবউদ্দিন নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। শনিবারই তাকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, এফআইআরে নাম ছিল না আফতাবউদ্দিনের। তবে সন্দেহভাজনের তালিকায় নাম ছিল তার।
আরও পড়ুন- আপাতত নিরাপত্তা দেবে রাজ্যই, অর্জুনের মামলায় জানাল আদালত
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি সহ ৩ তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ কিন্তু তাদের টিকিও মেলেনি গতকাল পর্যন্ত৷ কিন্তু শুক্রবার রাতে পাকড়াও হয়েছে একজন। কিন্তু রফিকুলের খোঁজ এখনও মেলেনি। তবে ধৃত আফতাবউদ্দিনের থেকে তার খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই রফিকুলের বাড়িতে দু’বার হানা দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু, সেখান থেকে তেমন কোনও তথ্য উদ্ধার হয়নি বলেই সূত্রের খবর। রফিকুল কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি তার মা।
এদিকে, তিন তৃণমূল নেতা খুনের পরেই স্থানীয়রা রফিকুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ প্রতিবেশিরা জানান, ৮-৯ মাস আগে মাদক মামলায় ছাড়া পেলেও বাড়িতে আসেনি রফিকুল৷ তার পরেই এই খুনের ঘটনা৷ কিন্তু কেন খুন করা হল? অভিযোগ, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝির দাপটে এলাকায় ঢুকতে পারত না রফিকুল৷ এলাকায় ঢুকলেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যেত৷ পথের কাঁটা সরাতেই ছক কষে খুন করা হয় স্বপন মাঝিকে৷ প্রমাণ লোপাটে খুন করা হয় তাঁর দুই সঙ্গীকেও৷