বর্ধমান: মেয়েটিকে তিনি ভালোবাসেন। সেই কারণেই ওই যুবক দেখা করতে এসেছিলেন প্রেমিকার সঙ্গে। প্রেম করার অপরাধে একদল দুষ্কৃতী যুবককে মারধর করেন। কেটে দেন তাঁর চুল। শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত ছয় ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতদের নাম শেখ সেলিম ,আমির আলি,শেখ সাবির আলি ,ফিরোজ মোল্লা ,শেখ লালচাঁদ ও হায়দর আলি। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি ভাতারের পাটনা গ্রামে। মারধর ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে।ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সোমনাথ দাস ধৃতদের জামিন নামাঞ্জুর করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অত্যাচারিত যুবকের নাম রজব শেখ। তার বাড়ি কাটোয়া থানার রাজুয়া গ্রামে। ভাতারের পাটনা গ্রাম নিবাসী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক বালিকার সঙ্গে যুবকের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে বালিকা ওই যুবকের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। এই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বালিকার পরিবারের লোকজন ভাতার থানায় বিষয়টি জানায় । পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় । এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গত শনিবার রজব তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে পাটনা গ্রামে পৌঁছায়।
স্থানীয় এরুয়ার হাইস্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে তারা গল্প করছিল। অভিযোগ সেই সময়ে বাইকে চেপে অভিযুক্তরা সেখানে পৌঁছায়। তারা রজবকে মারধর করে সেখান থেকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে নিত্যানন্দপুর পঞ্চায়েত অফিসের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ফের মারধোর করে। গলা টিপে রজব কে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়। এরপর ওই জায়গাতেই অভিযুক্তরা জোরপূর্বক রজবের মাথার চুল বিশ্রি ভাবে কেটে দেয় । খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে রজবকে উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। রজবের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার রাতে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ।
এদিকে এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে ওই রাতেই এলাকার উত্তেজিত জনতা বর্ধমান – কাটোয়া রোডে ভাতারের বলগোনা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ধৃতদের ছেড়ে দেবার দাবি জানানো শুরু করে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ধারায় পৃথক একটি মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে।