কলকাতা: করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে এখন নয়া চিন্তা ‘ওমিক্রন’। বিগত কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছেন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশ একাধিক রাজ্যের মত বাংলাতেও দৈনিক আক্রান্ত বাড়ছে। শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন৷ এবার জানা গেল, বিদেশ না গিয়েও এদের মধ্যে আক্রান্ত ৪ জন, বিদেশ সফরের রেকর্ড রয়েছে ১ জনের। তাহলে কি বাংলায় ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল? আতঙ্ক বাড়াচ্ছে এই প্রশ্ন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নতুন করে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সকলেই মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সেখান থেকেই তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং তারা পরবর্তী ক্ষেত্রে পজিটিভ আসেন। নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ২ জন কলকাতার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। একজন থাকেন দমদমে, অন্যজন হাওড়ার। আরও জানা গিয়েছে, ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যেই ৫ জন ওমিক্রন পজিটিভ এসেছেন। যিনি বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন সাম্প্রতিকালে তিনি তানজানিয়া থেকে এসেছিলেন। তবে বাকিদের, যাদের বিদেশ সফরের সাম্প্রতিক কোনও ইতিহাস নেই, তারা কী ভাবে আক্রান্ত হলেন ওমিক্রনে, সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত মিলছে না। আতঙ্ক আরও বাড়ছে কারণ, এখনও প্রায় ১ হাজার নমুনা জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো রয়েছে। সেইসব রিপোর্ট থেকেই ওমিক্রন পজিটিভ বেরিয়ে আসতে পারে বলেই অনুমান।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনারভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩৮ জন দিল্লিরই৷ মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত ১৬৭ জন৷ তবে করোনা ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন৷ নতুন পর্যায়ে কী ভাবে টিকাকরণের কাজ চলবে তা নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও৷ জানা গিয়েছে, স্কুলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের তালিকা তৈরি করা হবে। কলেজের মতোই স্কুলের কাছাকাছি হাসপাতালগুলিতে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে৷ যে সকল কেন্দ্রে করোনার দুটি টিকাই দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও কম বয়সীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা থাকবে৷