পোলিং বুথে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে একাই লড়লেন বৃদ্ধ অনাথবন্ধু

পোলিং বুথে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে একাই লড়লেন বৃদ্ধ অনাথবন্ধু

বনগাঁ: রবিবার ছিল বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন৷ ভোটের দিন উত্তেজনা কিছুটা হবে, সেই আঁচ আগে থেকেই করা গিয়েছিল৷ পুলিশ-প্রশাসনকে সে কথা চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছিল৷ কিন্তু পুলিশ পুরভোটে ছিল ঠুঠো জগন্নাথ৷ তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের৷ তবে শাসক দলের ছাপ্পার বিরুদ্ধে একাই রুখে দাঁড়ালেন সিপিএম-এর বৃদ্ধ এজেন্ট৷ গলা উঁচিয়ে বললেন, ‘ভোট লুঠ হতে দেব না৷’

আরও পড়ুন- পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার করে অনুদান, বিদ্যুতেও ছাড়! বড় ঘোষণা মমতার

এদিন সকাল থেকেই বুথে বুথে বহিরাগতদের দাপাদাপি৷ চলছে ছাপ্পা ভোট৷ এ সব চোথের সামনে দেখে আর চুপ থাকতে পারেননি বাম প্রার্থী ধৃতিমান পালের ৭২ বছরের বৃদ্ধ এজেন্ট অনাথবন্ধ ঘোষ৷ ফুঁসে ওঠেন তিনি বলেন, ‘ভোট লুট করতে দেব না’৷ এক যুবককে কানে কানে তাঁকে কিছু বলার চেষ্টা করছিল৷ যা শুনে আরও ক্ষেপে ওঠেন যুবকল্যাণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অনাথ। মাথা নেড়ে তাঁর সাফ কথা ‘‘এ সব কথা আমি শুনব না।’’ কোনও ভাবেই অনাথদাকে বাগে আনা যাচ্ছে না দেখে ‘গরম’ দেখাতে শুরু করল এক যুবক৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলল, ‘‘অনাথদা, আপনাকে আমরা সম্মান করি। আপনার অনেক বয়স হয়েছে। এখান থেকে চলে যান। আশা করি পরিস্থিতি কী সেটা বুঝতে পারছেন।’’ কিন্তু, পিছু হটতে নারাজ সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ। বেশ খানিকক্ষণ তর্কাতর্কির পর দেখা গেল কিছুটা দমে গেল ওই যুবকের দল৷ 

তবে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ হু হু করে ঢুকে পড়ে বহিরাগতরা৷ বুথ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন অনাথ৷ তিনি জানান, দু’বার আটকে পেরেছিলেন৷ শেষবার আর পেরে ওঠেননি৷ 

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বনগাঁ সাহিত্য মঞ্চ৷ তাঁদের কথায়, ভোট দানের মতো একটি গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সচেতন নাগরিক হিসাবে একজন প্রতিবাদ করবেনই৷ এটাও স্বাভাবিক। এই প্রতিবাদ করতে গিয়েই নিগৃহীত হতে হয়েথে অনাথবাবুকে। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা  ও ধিক্কার জানা সাহিত্য মঞ্চ৷