কালনা: বয়স তাঁর কাছে শুধুই একটা সংখ্যা মাত্র৷ মনের জোরের আগে বাকি সব ফিকে৷ তাই তো ৭৫ পেরিয়েও লিখে চলেছেন একের পর এক সাফল্যের কাহিনী৷ তিনি পূর্ব বর্ধমানের কালনার শিক্ষিকা অনিমা তালুকদার। যাঁর নামের সঙ্গে সহাবস্থান সাফল্যের৷ জয় যেন তাঁর কাছে রোজনামচা৷ এই তো সেদিনকার কথা৷ চেন্নাই-এর জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ৪২ তম অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের মুকুট উঠেছিল তাঁর শিয়রে। এবার তাঁর সাফল্যের মুকুটে জুড়ল আরও একটা পালক৷ জয় এল সিঙ্গাপুরের মাটিতে৷
আরও পড়ুন- পরণে সাদা-সবুজ শাড়ি, ধামসা-মাদলের ছন্দে ‘অন্য’ মমতা
চেন্নাইয়ের পর সিঙ্গাপুরেও সফল কালনার শিক্ষিকা অনিমা তালুকদার৷ তাঁর সাফল্যে গর্বিত গোটা কালনা শহর৷ আনন্দে উচ্ছ্বসিত পরিবার-পরিজন৷ কিন্তু কী এমন করলেন তিনি? আসলে সিঙ্গাপুর মাস্টার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত ৪ ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় ৪৫ তম অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ থেকে ৭৯ বছর বয়স্ক মহিলারা৷ সেই প্রতিযযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কালনার কৃষ্ণদেবপুরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অনিমা তালুকদারও৷ সেখানেই ২০০ মিটার ও ৫০০ মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে সোনার মেডেল জিতে নেনে তিনি৷ এখানেই শেষ নয়, তিনি শট পাট ছুঁড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন৷ সেই সঙ্গে ব্রোঞ্চ পদক নিজের নামে করে নেন৷ বয়সকে হেলায় হারিয়ে তিনি যেন উড়িয়ে দিলেন তারুন্যের ধ্বজা৷
এর আগে গত মে মাসে চেন্নাই-এর জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ৪২ তম অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন শিপে অংশগ্রহণ করেছিলেন কালনার দিদিমণি। সেখানে ৫ কিমি হাঁটা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন অনিমা৷ গত ২রা জুন সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন অনিমা। সেখানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সোনা জিতে খুশি তিনি। দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইচ্ছে, জেদ, আগ্রহ, হার না মানা মনোভাব, আর কোনও কিছুর প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে যে কোন বাধা অতিক্রম করা যায়৷ অর্জন করা যায় সাফল্য৷ বয়স সেখানে খুবই তুচ্ছ৷ সেটাই প্রমাণ করে দিলেন দিদিমণি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>