বিচার পদ্ধতিকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করায়! ডিএ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ সংগঠন

কলকাতা: ডিএ মামলা নিয়ে আরও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সকলে। কারণ মামলার শুনানি আরও একবার পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে দশম বারের জন্য শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি পিছল৷ শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে আর হবেই না এই মামলার শুনানি। এই নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তারা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ।
সুপ্রিম কোর্ট ডিএ মামলা নিয়ে যে রায় দিয়েছে তা জানার পর এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, লক্ষ-কোটি টাকা ব্যয় করে ডিএ মামলার দশবার শুনানি হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে, কিন্তু নিট ফল জিরো। আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পিছিয়ে গেল শুনানি। এই দীর্ঘ বিলম্বিত বিচার পদ্ধতি তাঁদের মনে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। এটি গণতন্ত্র এবং বিচার পদ্ধতিকে এক প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে বলেই তারা মনে করছেন। সংগঠনের মতে, এই বিষয়টি ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই মঙ্গলজনক নয়।
প্রসঙ্গত, ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সরকার। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলা দায়ের করা হয়। প্রথম শুনানি হয় ২৮ নভেম্বর। তারপর থেকে এই নিয়ে দশবার শুনানি পিছিয়ে গেল। আদতে কবে এই ইস্যুতে চূড়ান্ত রায় মিলবে তা এখনও অজানা।