রবীন্দ্রসঙ্গীতের আড়ালে যৌন সুড়সুড়ি! নেটপাড়ায় বিদ্রোহ ‘ঐক্য বাংলা’র

বসন্ত উৎসব উপলক্ষে পিঠে অশ্লীল শব্দ লেখা নিয়ে জল্পনা কিছুটা স্তিমিত হলেও রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রসঙ্গ যেন ঘুরেফিরে চলেই আসছে সংবাদের শিরোনামে। কিছু না কিছু বিতর্ক উঠছেই। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের একটি ওয়েবসিরিজে অভিনেত্রী কিয়ারা আডবানির একটি ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবিটিতে দেখা গেছে, অভিনেত্রীর বুকে লেখা রবি ঠাকুরের গানের লাইন 'একলা চলো রে'। আর তার জেরেই শুরু বিতর্ক। তবে এই প্রসঙ্গে বাংলার মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'ঐক্য বাংলা'-র তরফে যা মন্তব্য করা হল, তা নিয়ে জল্পনা আরও তুঙ্গে। তাদের কথায়, নেটফ্লিক্সের ওয়েবসিরিজটিতে ক্লিভেজ রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন লেখা আসলে যৌন সুড়সুড়ির উদ্দেশ্যেই। এমনকী, প্রতিটি বাঙালির এই ঘটনার নিন্দা করা উচিত। 

কলকাতা: বসন্ত উৎসব উপলক্ষে পিঠে অশ্লীল শব্দ লেখা নিয়ে জল্পনা কিছুটা স্তিমিত হলেও রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রসঙ্গ যেন ঘুরেফিরে চলেই আসছে সংবাদের শিরোনামে। কিছু না কিছু বিতর্ক উঠছেই। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের একটি ওয়েবসিরিজে অভিনেত্রী কিয়ারা আডবানির একটি ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবিটিতে দেখা গেছে, অভিনেত্রীর বুকে লেখা রবি ঠাকুরের গানের লাইন 'একলা চলো রে'। আর তার জেরেই শুরু বিতর্ক। তবে এই প্রসঙ্গে বাংলার মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন 'ঐক্য বাংলা'-র তরফে যা মন্তব্য করা হল, তা নিয়ে জল্পনা আরও তুঙ্গে। তাদের কথায়, নেটফ্লিক্সের ওয়েবসিরিজটিতে ক্লিভেজ রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন লেখা আসলে যৌন সুড়সুড়ির উদ্দেশ্যেই। এমনকী, প্রতিটি বাঙালির এই ঘটনার নিন্দা করা উচিত।

নেটফ্লিক্সের 'গিলটি' নামক ওয়েবসিরিজে অভিনেত্রীর ক্লিভেজে রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন লেখা নিয়ে ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ বলছেন, এটা অন্যায়। কেউ আবার বলছেন, এটা নিন্দনীয়। এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার ঐক্য বাংলা-র তরফে সুলগ্না দাশগুপ্ত একটি ফেসবুক পোস্টে, 'নেটফ্লিক্সের গিল্টি সিরিজে কয়েকটি শব্দ একজন অভিনেত্রীর ক্লিভেজে লেখা হয়েছে, কাকতালীয়ভাবে নয়। ক্লিভেজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।' এছাড়াও তিনি লিখেছেন, 'যৌন সুড়সুড়ির মাধ্যমে সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য। এই ব্যাপারে নেটফ্লিক্স, এই সিরিজ বা পরিচালক ব্যতিক্রম কিছুই করেননি। যৌন সুড়সুড়ির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়ানো- এটা তো চলচ্চিত্র বা বিজ্ঞাপন জগতে চিরকাল হয়ে আসছে।'

নেটিজেনদের একাংশ যদিও এই বিষয়টির মধ্যে কোনও যৌনতা খুঁজে পাননি। তাঁদের কাছে ক্লিভেজ নারীদেহের আর পাঁচটা সাধারণ অঙ্গের মতোই। সেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত লেখা নিয়ে রে রে করে ওঠার কোনও যুক্তি নেই। তবে এর সঙ্গে যে যৌনতার সম্পর্ক রয়েছে, সেই বিষয়টি সাফ জানিয়েছেন সুলগ্না। তিনি লিখেছেন, 'নৈতিক জায়গা থেকে বলব- যেটা অপরাধ সেটা হচ্ছে মিথ্যাচার। নেটফ্লিক্স-কাণ্ডে বহু মানুষ বলতে শুরু করেছেন – এখানে কোনও যৌন সুড়সুড়ির ব্যবসায়িক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় না। এটা মিথ্যাচার।' তাঁর এই ভাবনার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তিও দিয়েছেন সুলগ্না। প্রসঙ্গক্রমে উঠেছে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া রবীন্দ্রভারতীর বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্কও। ঐক্য বাংলা যে এই ভাবনায় অনড় থাকবে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে পোস্টটিতে। এমনকী, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা  প্রতিটি বাঙালির কর্তব্য বলেই জানিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =