কলকাতা: দেশের সাম্প্রতিক মহামারীর আবহে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘের সঞ্চার করেছে দিল্লির ধর্মীয জমায়েত। গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ নিজামুদ্দিন মসজিদ এলাকায় তাবিলঘিতে জমায়েতে ধর্মীয় সমাবেশ হয়। যেখানে সব রকম সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় কয়েকশো মানুষ যোগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার থেকেও মানুষ এসেছিলেন ওই সমাবেশে।
বিভিন্ন রাজ্যেে ইতিমধ্যেই ওই জমায়েতে যোগদানকারী মানুষের মধ্যে ২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিস মিলেছে। মারাও গিয়েছেন ছয়জন।এখবর সামনে আসার পরে সাড়া পরে গেছে নবান্নে। কারণ এরাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও বেশ কিছু মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।তবে এরাজ্য থেকে ঠিক কতজন যোগ দিয়েছিলেন সরাকারি ভাবে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।তবে তাদের চিহ্নিত করতে জোর তত্পরাতা চলছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
এরাজ্যের যেসব মানুষ দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্য তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই সম্মেলনে বাংলা থেকে মোট ৭৩ অংশ নিয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাকি ৬০ জনেরও খোঁজ চলছে। সেখানে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন ওই সব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে তারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা দেখা হবে এবং বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে।
আগেই জানা গিয়েছিল যে নিজামুদ্দিনে এই জমায়েতে অংশ নেওয়া ৬ জন তেলেঙ্গানায় মারা গিয়েছেন। তারা সকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলেই জানা যাচ্ছে। এখন খবর, ওই জমায়েতে অংশ নেওয়া আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে অন্তত ৩০০ জনের করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার। কোনও ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক সমাবেশে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও চলতি মাসের প্রথম দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে ওই ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করার কারণে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লি প্রশাসন।