nwc
কলকাতা: কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেই রায়ের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কামদুনির নির্ভয়ার বন্ধু মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালরা। কিন্তু সেখানে তারা আশানুরুপ কিছু পাবে বলে মনে করছে না। তাই অন্য পথেও যাতে আন্দোলন জারি রাখা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে এবার জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন কামদুনির মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়াল-সহ প্রতিবাদীরা। কামদুনির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কমিশনকে একটি দল পাঠানোর অনুরোধও করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেছেন মৌসুমী, টুম্পারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। এই স্মারকলিপিতে কামদুনির গোটা ঘটনা এবং নিম্ন আদালত কী রায় দিয়েছিল আর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কী নির্দেশ এসেছে, তার সবটাই জানানো হয়। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও স্মারকলিপিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রতিবাদীরা। একই সঙ্গে মৌসুমী, টুম্পাদের বক্তব্য, কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্তেরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ায় গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গ্রামের মেয়েরা বাড়ি থেকে বেরতে আতঙ্কিত হচ্ছে।
কামদুনিকাণ্ডে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের ক্ষোভ কম নয়। তারা আগেই দাবি করেছে, কলকাতা হাইকোর্ট যে ভাবে অপরাধীদের ফাঁসির সাজা রদ করেছে, তাতে বিচারব্যবস্থার ওপর থেকেই যেন আস্থা ভরসা হারিয়ে গিয়েছে তাঁদের। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের গাফিলতির কারণেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় চার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুক্তি পেয়েছে। তবে ক্ষিণ আশা, সুপ্রিম কোর্টে হয়তো সুবিচার মিলবে৷