কলকাতা: বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সরকারি হাসপাতাল এবং শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি ‘নার্সিং সহায়ক’ বা পরিচারিকাদের নিযুক্ত করছে। সেপ্টেম্বরের পর থেকে কমপক্ষে চার সুবিধাযুক্ত কোভিড ওয়ার্ডে ১০০ জনেরও বেশি নার্সিং কর্মী নিয়োগ হবে। এখনও অবধি ৭০০ জনেরও বেশি নার্স ও অভিজ্ঞ কর্মী পদত্যাগ করেছেন যাঁরা আইসিইউতে কর্মরত ছিলেন। তাই এই কর্মীনিয়োগ।
দক্ষ, অভিজ্ঞ কর্মীদের অভাবের কারণে আইসিইউগুলির জন্য নার্স নিয়োগ ধীর হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বলেছেন, “আমরা কোভিড ওয়ার্ডে আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সিং সহায়কদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। যেহেতু তাঁরা যোগ্য নার্স নয়, তাই তাঁদের ওষুধ সরবরাহ করা, রোগীদের নজরদারি করতে বা চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুমতি নেই। তাঁরা সুবিধার্থক হিসাবে কাজ করেন। টয়লেটে রোগীদের সহায়তা করে, তাঁদের পোশাক পরিবর্তন করে, নার্স এবং চিকিৎসকদের সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাঁদের সাহায্য করেন।” পিয়ারলেস অক্টোবর থেকে ৪০ নার্সিং অ্যাটেন্ডেন্ট নিয়োগ করেছেন। হাসপাতালটি গত একমাস থেকেই আইসিইউ নার্সের সংখ্যা কমেছে।
এএমআরআই হাসপাতালে নার্সিং সহায়কদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০। ফলে ৪০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। “আমরা আমাদের অভিজ্ঞ নার্সদের কোভিড আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেছি। সেখানে তাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কোভিড ওয়ার্ডে কর্মীদের অভাব রয়েছে। এছাড়া সহায়তাকারী ব্যতীত, নার্সিং কর্মী হ্রাস সহ ওয়ার্ডগুলিতে রোগীদের সেবা করা কঠিন হবে। তবে তাঁরা ক্লিনিকাল সেবার সঙ্গে জড়িত নন।” দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড ওয়ার্ডের রোগীদের চব্বিশ ঘণ্টা নার্সদের সাহায্যের প্রত্যাশা না করার জন্য বলেছে। হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “যদিও আইসিইউর জন্য আমাদের প্রায় পর্যাপ্ত নার্স রয়েছে। ওয়ার্ডে তাঁদের সংখ্যা অপ্রতুল। নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্টরাও খুব কম। যেহেতু আমরা এখনও পর্যাপ্ত নিয়োগ দিতে সক্ষম হইনি। সহায়তার অভাব নিয়ে রোগীরা প্রায়শই অভিযোগ করে আসছেন। তাই ছোট ছোট কাজ করার চেষ্টা করতে নিয়োগ করেছি।”
রুবি জেনারেল হাসপাতালও সেপ্টেম্বরে নিজস্ব নার্সিং কোর্স থেকে পাস হওয়া ৪০ জন নার্স ডিউটিতে যোগ দিতে না চাওয়ায় তারাও নার্সিং সহায়কদের কাছে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। হাসপাতাল বহিরাগত এবং রোগী উভয় বিভাগে সহকারীদের ব্যবহার করে আসছে। তবে কঠোরভাবে ক্লিনিকাল কাজের জন্য তাদের নিয়োগ করা হয়নি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, “তাঁদের রোগীদের ইনজেকশন দেওয়ার বা ওষুধ দেওয়ার অনুমতি নেই। তাঁরা কেবল নার্সদের শূন্যস্থান পূরণ করছেন এবং রোগীদের শারীরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য রয়েছেন। আমাদের নার্সিং সহায়কদের কয়েকজন ওপিডিতে ডাক্তারদেরও সহায়তা করছেন।”