অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমল মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা

কলকাতা: মেট্রোয় আগুন লাগার ঘটনাটি তদন্ত করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি৷ আজ শনিবার মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে৷ ওইদিন মেট্রোতে দ্বিতীয় রেকে আগুন লাগার পর ঠিক কি হয়েছিল, মেট্রো কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানবে কমিশন। বিজ্ঞাপন দিয়ে ডাকা হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ আগামী সোমবার থেকেই

অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমল মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা

কলকাতা: মেট্রোয় আগুন লাগার ঘটনাটি তদন্ত করবে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি৷ আজ শনিবার মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে৷ ওইদিন মেট্রোতে দ্বিতীয় রেকে আগুন লাগার পর ঠিক কি হয়েছিল, মেট্রো কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানবে কমিশন। বিজ্ঞাপন দিয়ে ডাকা হচ্ছে প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ আগামী সোমবার থেকেই শুরু হবে জিজ্ঞাসাপর্ব৷ যদিও প্রথম থেকেই আগুন লাগা থেকে শুরু করে উদ্ধার কাজে ঢিলেমি সবেতেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে যাত্রীরা৷ বেশিরভাগ যাত্রী অভিযোগ করেন, মেট্রোর ভেতরে কালো ধোঁয়ার মধ্যে দমবন্ধ অবস্থায় আটকে থাকতে হয় প্রায় ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে৷ যাত্রীরা নিজেরাই জানলার কাঁচ ভেঙ্গে নিজেদের উদ্ধার করেন৷ এই সব কিছুর ফলস্বরূপ মেট্রোর যাত্রী সংখ্যায় বেশ টান পড়েছে৷ বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে মেট্রোর যাত্রীর সংখ্যা ১৩ হাজার কম ছিল বলে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রানী বন্দোপাধ্যায় জানান, “এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক৷ তবে সঠিক সংখ্যা রাত সাড়ে এগারটার আগে জানা যাবে না৷” এরই সাথে শুক্রবার লালবাজারে উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে ঠিক হয় যে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে এফআইআর করা হবে৷ রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, ‘মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন। এটি মানুষের ভুলেও হতে পারে আবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারনেও ঘটে থাকতে পারে। আমি তাঁকে সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে আমাকে রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট নিয়ে আমি রেলওয়ে সেফটি কমিটির সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হবে।’‌ যাত্রীদের অভিযোগ, মেট্রোর কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এদিন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী ব্যানার্জি বলেন, ‘‌এক্ষেত্রে রেলের যে নিয়ম আছে, সেই নিয়ম মেনেই উদ্ধারের আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আগুনটা লেগেছিল প্রথম কোচের নিচে। আগুনের ফলে প্রচুর ধোঁয়া তৈরি হয়েছিল। ধোঁয়া সরে গেলে যাত্রীদের বের করে আনা হয়।’‌ ঘোষণা না হওয়ার যে অভিযোগ যাত্রীরা করেছেন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অবশ্য ইন্দ্রানী দেবী বলেন, ঘোষণা ঠিকই হয়েছিল| তবে ওই হুরহুরির মধ্যে কেউ তা শুনতে পাননি|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =