কাটোয়া: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নিময় রক্ষার পরীক্ষা৷ বাড়ি থেকে পরীক্ষা নেওয়া পেয়েছেন চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়ারা৷ বাড়ি থেকে পরীক্ষায় বসার দেদার সুযোগ থাকলেও নম্বর নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ল কলেজে জুওলজি বিভাগে! অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের৷ অভিযোগের তীর বিভাগীয় প্রধানসহ দুই অধ্যাপকের দিকে৷ ৫০০ টাকার বিনিয়ে স্বপ্নের নম্বর পাইয়ে দেওয়ার বিরাট অফার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ নেটপাড়ায় ভাইরাল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট৷
অভিযোগ, যে মেধাবী পড়ুয়ারা টাকা দিতে পারবে না তাঁদের উত্তরপত্র ছিড়ে দিয়ে, তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে৷ ৫০০ টাকা দিলে বাড়িয়ে দেওয়া হবে নম্বর৷ টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া কলেজে জুওলজি বিভাগের বিরুদ্ধে৷ বিষয় পিছু ৫০০ টাকা করে ৪টি বিষয় মোট ২ হাজার টাকা, এবং লকডাউনের মধ্যে টিউশন না নিলেও ২ হাজার টাকা দিতে হবে বলেও ফতোয়া জারি হয়েছে৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ, মোট চার হাজার টাকা দিলেই তাঁকে সর্বচ্চ নম্বর দেওয়া হবে৷ আর প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষায় ২০ নম্বরের মধ্যে তাঁকে ১৭ কিংবা ১৮ নম্বর দেওয়া হবে৷ আর যারা টাকা দেবে না, তাঁরা যদি মেধাবী পড়ুয়া হলেও তাঁর উত্তরপত্র ছিঁড়ে দিয়ে কম নম্বর দেওয়া হবে৷ জুওলজি বিভাগের বলে দাবি করা ফতোয়া ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল৷ সোশ্যাল দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল ছবি প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি জুওলজি বিভাগ৷ ভাইরাল ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷
জুওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ কলেজ অধ্যক্ষ জানান, ‘‘এই রকম কিছু হতেই পারে না৷ কারণ সবার ওপরে আমি আছি৷ সুতরাং এরকম ঘটনা কখনও ঘটবে না৷’’ বিতর্কের পর থেকেই কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি৷-প্রতীকী ছবি৷