কলকাতা: সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক শিক্ষকরা অভিনবভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন মঙ্গলবার। তারা হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে বাটি হাতে ভিক্ষা করেন ও ছাগল চড়ান। এমনকি তারা বাসে উঠে ভিক্ষাও করেন। কিন্তু কেন এমন প্রতিবাদ দেখালেন তারা? এর পিছনে রয়েছে বেতন না পাওয়ার সমস্যা থেকে শুরু করে শিক্ষক ছাঁটাইয়ের বিষয়।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৭২৬টি সরকার ও সরকার পোশিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অটোমোটিভ, রিটেল, হেল্থ কেয়ার, ইনফরমেশন টেকনোলজি, বিউটি এণ্ড ওয়েলনেস, প্লাম্বিং , ইলেকট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি শেখানো হয়। অভিযোগ, ২০১৩ সাল থেকে এই বিষয়গুলি চলছে কিন্তু শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সি থেকে নিয়োগ করার ফলে শিক্ষকরা বহুদিন ধরে সময় মতো বেতন পাচ্ছেন না। এও বলা হয়েছে যে, আন্দোলন করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। সেই নিয়ে এবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে এঁরা।
শিক্ষকদের এও অভিযোগ, যখন তখন প্রাইভেট এজেন্সিরা চাকরি থেকে শিক্ষকদের ছাঁটাই করছে, ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক মিলছে না, ল্যাব পরিকাঠামো ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি। এই প্রেক্ষিতে ‘এনএসকিউএফ’ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক নির্মল মণ্ডল বলেন, অবিলম্বে যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের প্রাইভেট এজেন্সি সরিয়ে চাকরির স্থায়ীকরণ, বেতন কাঠামো ও বেতন বৃদ্ধি সহ ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল করতে হবে। অবিলম্বে এই বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।