durga puja
কলকাতা: ১০ বছর কাজ করেও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা মেলে না, পুজোর বোনাসও নেই! এইসব ছাড়াও একাধিক অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করল ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক বা এনএসকিউএফ শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছে, ই-মেল করে কর্মরত শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও পুজোর বোনাসের জন্য আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে শুধু তাঁর কাছে নয়, ই-মেল গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সহ কারিগরী মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।
এই সংগঠন দাবি করেছে, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয়ে ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রকল্পে ৭২৬টি বিদ্যালয়ে হাতে-কলমে শিক্ষাদান শুরু হয়। রাজ্যে ২০১৩ সালে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হল রিটেল, সিকিউরিটি, হেল্থ কেয়ার, অটোমোটিভ, অ্যাপারেল, কনস্ট্রাকশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি ইত্যাদি। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়গুলি স্থায়ী হওয়া স্বত্বেও শিক্ষকদের অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সী দ্বারা নিয়োগ করা হয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তারা বহুদিন ধরে অভিযোগ করেছেন যে, প্রাইভেট এজেন্সীগুলি যখন তখন ছাঁটাই করে দিচ্ছে তাদেরকে। কিন্তু বারংবার মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং কারিগরী মন্ত্রীকে জানিয়ে কোনও সুরাহা মেলেনি।
পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক নির্মল মণ্ডল বলেন, বর্তমানে ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষক নিযুক্ত আছেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২টি করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়গুলি চলছে। কিন্তু শিক্ষক, শিক্ষিকারা সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না, এমনকি সম্প্রতি ২১০ জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে চুক্তিভিত্তিক সহ সকলে উৎসব ভাতা বা পুজোর বোনাস পেলেও তারা পান না, সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করা হয়েছে। অন্যদিকে, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বলেন, বিভিন্ন জেলায় থেকে কাজ করেও যা বেতন পাওয়া হয় তাতে ঠিকমতো সংসার চালাতে পারা যায় না। পুজোয় নতুন জামা ও পরিবারের জন্য কেনাকাটা করা তো দূর। পুজোর বোনাস পেলে সেটা সম্ভব হত কিন্তু ১০ বছর শিক্ষকতার পরও বোনাস মিলছে না।