কলকাতা: দোড়গোড়ায় তৃতীয় ঢেউ৷ এক সপ্তাহের মধ্যেই বঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে৷ সাত দিনের মধ্যে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ যা প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়ে অনেটকাই বেশি৷
ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। অন্যদিকে, কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে। প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। বলা হচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই একেবারে চূড়ায় পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ৷ করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে ছ’টি জেলাকে (দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা, উত্তরবঙ্গের তিন জেলা) নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে হারে নমুনা পরীক্ষা বাড়ছে তাতেও বিপদের ইঙ্গিত দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বলছেন, বেসরকারি ল্যাবে অস্বাভাবিক হারে পরীক্ষার পরিমা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ হাতে আসা তথ্যে নতুন করে কালো মেঘ দেখছে স্বাস্থ্য দফতর৷
মৃদু উপসর্গ থাকলেই করোনাভাইরাস টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিতকরণের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে৷ সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে খামখেয়ালির কোনও জায়াগা নেই বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷ তবে বারবার বলা হয়েছে, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ তবে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে৷ কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট মিলেছে। পাঁচ জনের মধ্যে চার জনের লোকাল নমুনা পরীক্ষায় ওমিক্রমণের সংক্রমণ স্পষ্ট। কলকাতায় টেস্ট ও পজিটিভিটি রেট সমান হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের স্পষ্ট বার্তা, এখন আর পিকনিক, বর্ষবরণ নিয়ে উন্মাদনা নয়, শুধু কথা হোক কোভিড নিয়েই!