কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে দিন-রাত লড়াই করে চলেছেন কোভিড যোদ্ধারা৷ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা করে চলেছেন তাঁরা৷ যার জেরে আক্রান্ত হয়েছেন বহু কোভিড যোদ্ধা৷ নিজেদের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের৷ কোভিড যোদ্ধারা করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসার সম্পূর্ণ ভার যে রাজ্য সরকারের, তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এবার আরও নামবিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ কোভিড যোদ্ধাদের মৃত্যু হলে অথবা কেউ চিরকালের মতো শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে, তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নবান্ন৷
আরও পড়ুন- জীবনের নিঃসঙ্গতা কাটাতে ৭২ বছরে গাঁটছড়া বাঁধলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
বুধবার অর্থ দফতরের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মৃত বা শারীরিকভাবে অক্ষম কোভিড যোদ্ধার স্ত্রী,স্বামী,সন্তান বা নিকটআত্মীদের সরাসরি সরকারি চাকরি ছাড়াও সরকার অধিগৃহীত বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনিক দফতরগুলিতে চাকরি দেওয়া হবে৷ নিকট আত্মীয় অর্থে দত্তক নেওয়া সন্তান, অবিবাহিত কন্যা সন্তান, বিবাহিত কন্যা সন্তানকে বোঝানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘চোখের খিদে মেটাতে হট ছবি পাঠাও’! বাম নেতার হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন নৃত্যশিল্পী হিয়া!
কারা কারা এই সুবিধা পাবেন? স্থায়ী কর্মী ছাড়াও কোভিড যুদ্ধে সামিল রাজ্য সরকারের আশাকর্মী, অস্থায়ী বা চুক্তি ভিত্তিক কর্মী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কর্মরত, অঙ্গনওয়াড়ি, সিভিক ভলেন্টিয়ার ও সিভিক পুলিশ ভলেন্টিয়াররাও এই সুযোগ পাবেন৷ করোনা রোগীদের সেবা করতে গিয়ে যদি তাঁদের মৃত্যু হয় কিংবা শারীরিক সক্ষমতা হারান, তাহলে তাঁদের পরিবাদের সদস্য ও নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট দফরেই তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কোনও পদে তাঁরা চাকরি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে উঁচু পদে কাজের সুযোগও পেতে পারেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- ফের লকডাউনের দিন বদল রাজ্যে, পিছনে ‘সাম্প্রদায়িক’, ‘ছ্যাবলামি’, ‘প্রশাসনিক খ্যাপামি’?
সরাসরি সরকারি দফতরে নিয়োগ সম্ভব না হলে, সরকারের অধীনস্থ বা কোনও স্বশাসিত সংস্থায় এঁদের কর্মসংস্থান করে দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে৷ ১ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। স্বভাবতই সরকারের এই নতুন উদ্যোগে খুশি কোভিড যোদ্ধারা৷