একজনের মৃত্যুর পর তৎপরতা, র্যাগিং রুখতে গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে র্যাগিং নিয়ে আবার উত্তাল হয়েছে রাজ্য, দেশ। সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের কারণেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হয়েছে, আরও কয়েকজন পড়ুয়া আটক। একে একে একাধিক নতুন এবং বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু তারই মাঝে একটাই প্রশ্ন উঠেছিল যে, এতদিনে কারোর কোনও টনক নড়েনি কেন র্যাগিং নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও আপাতত তৎপরতা দেখানো শুরু করেছে রাজ্য।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং রুখতে এবার গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। জানানো হয়েছে, রাজ্য ও জেলাস্তরে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গঠন করতে হবে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও মনিটরিং সেল। এছাড়া র্যাগিং বিরোধী প্রচার চালাতে হবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের নিয়েও নির্দেশিকা এসেছে। বলা হয়েছে, ভর্তির সময়ে র্যাগিং না করার হলফনামা দিতে হবে। এমনিতেই তৎপরতার সঙ্গে একাধিক শিক্ষাকেন্দ্রে অ্যান্টি র্যাগিং হোডিং বা পোস্টার লাগানো হচ্ছে। তার মধ্যেই চলে এল এই নির্দেশিকা।
এখনও পর্যন্ত ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর তদন্তে জানা গিয়েছে যে, মৃত ওই ছাত্রকে লাগাতার ভয় দেখানো হত এবং তাকে জোর করে বিবস্ত্র করে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনায় কি পকসো আইনে মামলা হবে? আপাতত এই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যারা এই কাজ করেছে তারা মার্কসবাদী। কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করে। নেত্রী এও দাবি করেন, ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা ওটাও খুলতে বলে। ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ড, নিজেদের জমিদারি!