কলকাতা: গত দুমাস ধরে রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনকে মাথায় রেখেই সোমবার ভোটকর্মীদের নির্দিষ্ট মূল্যের লাঞ্চের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি প্রশিক্ষণরত ভোটকর্মীর জন্য বরাদ্দ হয় ১৭০ টাকা মূল্যের প্যাকেট। কিন্তু মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ অনেক জেলাতেই কম টাকার প্যাকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোটকর্মীদের, বেশিরভাগ জেলায় দুপুরের খাবারের জায়গায় শুধুমাত্র চা-বিস্কুট দিয়ে কাজ সারা হয়েছে। কোথাও সেটাও মেলেনি।
এই ঘটনায় ভোটকর্মীদের মধ্যে তুমুল বিক্ষোভ দেখা যায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ভোটকর্মীরা। যদিও কয়েকটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত টিফিনের টাকায় কারচুপির কথা কার্যত মেনে নিয়েই বকেয়া টাকা কর্মীদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কোথাও ১৭০ টাকার জায়গায় ২০ টাকার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে, আবার কোথাও ১৮ টাকার মধ্যে কাজ সারা হয়েছে। তবে বাকি টাকা ভোট কর্মীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আধিকারিকরা।
এই ঘটনায় বুধবার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, “প্রতিবাদ কেবল টিফিন বা লাঞ্চের জন্য নয়, বরং চরম অসংগতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷ আমরা দাবি করছি যে সব ভোটকর্মীদের প্রথম ট্রেনিং সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও যেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমরা একটা কথা জোরের সঙ্গে বলতে চাই, ভোটকর্মীদের এই প্রতিবাদটা কেবল টিফিন বা লাঞ্চের জন্য নয়, বরং চরম অসঙ্গতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আশা করি ভোটকর্মীদের প্রতি সব ক্ষেত্রেই এধরনের বঞ্চনা ও অসঙ্গতি খুব শীঘ্রই দূর হবে।”