কলকাতা: এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল নাইসেড৷ নাইসেডের তরফে জানানো হয়েছে, যথেষ্ট পরিমাণ কিট রয়েছে৷ তবে যে পরিমাণ পরীক্ষা হওয়া দরকার, রাজ্যে সেই পরিমাণ করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না৷ এত অল্প পরিমাণে করোনা পরীক্ষা হলে, রাজ্যে করোনার কী পরিস্থিতি তা কোনওভাবেই জানা সম্ভব হবে না৷ ফলে রাজ্যের পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হতে পারে৷
ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যাণ্ড এনটেরিক ডিজিজেসের প্রধান ড. শান্তা দত্ত জানাচ্ছেন প্রতিদিন ২০টিরও কম স্যাম্পেল বা নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় কম। গত সপ্তাহে এই হারেই পরীক্ষা চলেছে। এইভাবে চলতে থাকলে, আক্রান্তের পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা কোনওভাবেই জানা সম্ভব হবে না।
ডা. শান্তা ঘোষ অভিযোগ করেছেন, রোজ গড়ে ২০ থেকে ২৫টি পরীক্ষা করা হচ্ছে নাইসেডে৷ কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি পরীক্ষা করার ক্ষমতা নাইসেডের রয়েছে৷ যত বেশি পরীক্ষা করা হবে, রাজ্যে করোনায় কী পরিস্থিতি রয়েছে, তা তত বেশি জানা যাবে৷ এর ফল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে৷ কিন্তু যদি কম পরীক্ষা করা হয়, তা হলে কখনই রাজ্যের আসল পরিস্থিতি জানা যাবে না৷ যার ফলে রাজ্যের মানুষ আরও বড় বিপদে পড়তে পারেন বলে তিনি মনে করছেন৷ যদিও তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই করোনার পরীক্ষা হচ্ছে৷ তাই নাইসেডে নমুনা কম আসছে৷ তারপরেও তিনি মনে করছেন, নাইসেডে আরও বেশি পরিমাণে করোনার নমুনা আসার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন৷
তবে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৫২৩টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে করোনার মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যথেষ্ট কড়া নয়। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। শনিবার রাজ্যের কাছে এই চিঠি এসে পৌঁছয়।