কলকাতা: সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে রেল পরিষেবা নিয়ে যাত্রী বিক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। বিলম্বে চলা ট্রেনের স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। সে লোকাল হোম বা এক্সপ্রেস। বিক্ষোভ, অবরোধ, ডেপুটেশন- কাজ হয় নি কিছুতেই। এই প্রেক্ষিতেই, রেল লাইনের থেকে ট্রেনের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই ৩০ শতাংশ ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে। শনিবার দুপুরে বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশন পরিদর্শনে এসে একথাই শোনালেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরিন্দ্র রাও।
বর্ধমান – সাহেবগঞ্জ লুপলাইনের অধিকাংশ ট্রেনই এখন বিলম্বে চলে। এ নিয়ে হামেশায় যাত্রী বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন ষ্টেশনে। নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ও সুপার ফার্স্ট ট্রেনগুলি বিলম্বে চলাচল করছে। মাসখানেক আগে নিত্যযাত্রীরা মুরারই স্টেশনে রেল অবরোধ করার পাশাপাশি ডিআরএমের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। বরং শহীদ এক্সপ্রেস, হাওড়া অজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস, বিশ্বভারতী ফার্স্ট প্যাসেঞ্জার, বালুরঘাট, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, কলকাতা হলদিবাড়ি সুপারফার্স্ট ও মা তারা এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন গুলি নিয়ম করে চলাচল করছে দেরিতে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেরিতে ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার বলেন, সব ট্রেন লেট চলছে একথা ঠিক নয়। তবে আমি মানছি ১০০ টির মধ্যে ৩০ টি ট্রেন দেরিতে চলাচল করে। আসলে লাইনের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী যতগুলি ট্রেন চলার কথা তার থেকে অনেক বেশি ট্রেন চলছে। তাছাড়া এই লাইনের উপর দিয়ে মালগাড়িও আমাদের চলাতে হয়। তবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিন খানা থেকে গোমানি পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। রামপুরহাট আসার পথে তিনি কোপাই রেলগেট পরিদর্শন করেন। রামপুরহাট স্টেশনের বাইরে টিকিট কাউন্টারের ঘিঞ্জি জায়গায় প্রচুর মানুষের ভিড় দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। জিএম বলেন, টিকিট কাউন্টারের জায়গা আরও বড় করা হবে।