কলকাতা: নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়ে নিজের সম্পত্তির হিসাব তুলে ধরেন কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী শিবির৷ এবার একনজরে দেখুন সুদীপ-রাহুল-কনীনিকা ও কংগ্রেস পার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ৷
এবার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল প্রার্থীরা হলফনামা যে সম্পত্তির হিসেব দাখিল করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে তিনি মোট ১৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা আয় করেছেন। তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। তার মধ্যে যেমন আছে দু’টি গাড়ি, তেমনই আছে ব্যাঙ্কে আমানত ও সঞ্চয় প্রকল্পে লগ্নি। বাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে মোট স্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। সেই সম্পত্তিতে অবশ্য ভাগ আছে তাঁর স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এছাড়া বিধায়ক নয়নাদেবীর হাতে অস্থাবর সম্পত্তি আছে প্রায় ৪৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকার।
তাক লাগানো মতো সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন, কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ শাহিদ ইমাম৷ প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী মিত্র দু’জনেই আইনজীবী। ইমাম সাহেব জানিয়েছেন, প্যানকার্ড থাকলেও, তিনি করযোগ্য আয় করেন না। তবে তাঁর স্ত্রী ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে আয় করেছেন প্রায় ১০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। গাড়ি, সোনার পাশাপাশি স্ত্রীর হাতে আছে বহু সংস্থার শেয়ার। সব মিলিয়ে স্ত্রীর সম্পদের অঙ্ক ২ কোটি ৭০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। তার সঙ্গে নন্দিনীদেবী পারিবারিক সূত্রে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতে পেয়েছেন। স্ত্রীর সাত কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির তুলনায় কংগ্রেস প্রার্থীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নস্যি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা।
স্কুল শিক্ষিকা কনীনিকা ঘোষ ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে মোট আয় করেছেন ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ১২৬ টাকা। সিপিএমের এই প্রার্থীর স্থাবর সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই। অস্থায়ী সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তাঁর স্বামী জীবনবিমা নিগমের অফিসার, যাঁর হাতে কিছু সম্পত্তি আছে, নির্বাচন কমিশনকে হলফনামায় জানিয়েছেন কনীনিকাদেবী।
২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে যেখানে রাহুল সিনহা আয় করেন ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭২৯ টাকা, সেখানে তার আগের বছর তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৫৫ টাকা। তিনি যে অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দাখিল করেছেন, তার মূল্য প্রায় ৬১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে সোনা ও সঞ্চয় প্রকল্প ছাড়াও আছে ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা দামের একটি গাড়ি। ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ছাড়া আর কিছু সম্পত্তি নেই বলেই রাহুল সিনহা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন।