কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য বিগত প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এই পরিস্থিতিতে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু তাতেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক লক্ষ ছাত্র ছাত্রী। তাদের সুবিধার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে অনলাইন পঠন-পাঠনের সুবিধার জন্য ট্যাব দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখন তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর পরিবর্তে সেইসব পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। এদিনে নবান্ন থেকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সাংবাদিক সভায় তিনি জানিয়েছেন, এত কম সময় অত ট্যাব পাওয়া যাবে না। এদিকে চাইনিজ ট্যাব কেনা যাবে না কারণ তা ভারত সরকার নিষিদ্ধ করেছে। আপাতত এক থেকে দেড় লক্ষ পেতে ট্যাব পাওয়া যেতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই পড়ুয়ারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবে, তারা নিজেরাই সেই টাকা দিয়ে ট্যাব কিনতে পারে। সব অফিসারদের নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের ১৪ হাজার স্কুল এবং ৬৩৬ টি মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হবে। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ হওয়ায় পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে অনেকেরই। অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও এমন অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা কম্পিউটার বা ট্যাবের কারণে অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। সেই কারণে রাজ্য সরকারের তরফে তাদের ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে এখন বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত বদল করতে হল রাজ্য সরকারকে। প্রসঙ্গত এদিন কোন কোন কাজে বাংলা ১ নম্বর স্থান অধিকার করেছে সেই বিষয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, দারিদ্র দূরীকরণ থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজ, মাইনোরিটি স্কলারশিপ থেকে শুরু করে গ্রামীণ রাস্তা এবং বাড়ি নির্মাণ, ই-গভর্নেন্স থেকে শুরু করে এমএসএমই সেক্টর, সবেতে বাংলা তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কেন্দ্রীয় রেকর্ড অনুযায়ী শীর্ষস্থানে রয়েছে।