‘যা করেছি বেশ করেছি, যে যা পারো করে নাও’,অডিও বিতর্কে ফের বিস্ফোরক সুমন

‘যা করেছি বেশ করেছি, যে যা পারো করে নাও’,অডিও বিতর্কে ফের বিস্ফোরক সুমন

কলকাতা: অডিয়ো বিতর্কে ইতি টানতে ফেসবুক পোস্টে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কবীর সুমন৷ তবে নিজের বক্তব্যের জন্য তাঁর যে বিন্দুমাত্রও অনুশোচনা ছিল না, তা তাঁর পোস্ট থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ বাঁকা সুরেই লিখেছিলেন, আর কার কার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে জানাবেন৷ এবার খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন, সাংবাদিককে ফোনে গালিগালাজ করার ঘটনায় তাঁর বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই৷ মঙ্গলবার আরও একটি ফেসবুক পোস্টে জানালেন, “যা করেছি বেশ করেছি। যে যা পারো করে নাও।”

আরও পড়ুন- জমিদাতাদের পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি! বড় ঘোষণা মমতার

তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘‘কেম ক্ষমা চেয়েছিলাম তা বিশদ বলছি৷ তার আগে পরে যা হয়ে চলেছে-ওটা ফিরিয়ে নিলাম৷ এবার বলছি-যা করেছি বেশ করেছি৷ যে যা পারো করে নাও৷’’ সোমবার রাতে কিনি জানিয়েছিলেন, নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘ঢিল মারলে পাটকেল খেতে হয়। খেলাম। এখন বলছি সেদিন এক ‘কলারকে’ ফোনে যা বলেছি সে ব্যাপারে আমার মনে আর কোনও অনুশোচনা নেই। যদি পারেন আমাকে টার্গেট করুন, অন্য কাউকে না। শুধু আমি চাই না পুলিশের কাজ বাড়ুক।” 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো রেকর্ডিং ভাইরাল হয়ে যায়৷ একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিকের সঙ্গে একটি ভারী পুরুষ কন্ঠের ফোনালাপের সেই রেকর্ডিং ঘিরেই সরগরম রাজ্য৷ ওই পুরুষ কন্ঠটি ছিল গায়ক কবীর সুমনের৷ ওই অডিয়োটিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গালিগালাজ করতে শোনা যায় তাঁকে৷ এর পর থেকেই সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে৷ শুধু নামজাদা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাই নয়, সমালোচনায় সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ৷ তীব্র সমালোচনা করেছেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷

এর পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেন কবীর সুমন৷ তবে বিতর্কে ইতি পড়েনি৷ বরং বুঝিয়ে দিলেন, সাংবাদিককে গালাগাল করে তিনি কোনও অন্যায় করেননি৷ বরং তাঁর অনুমতি ছাড়া অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনায় ওই বেসরকারি টেভি চ্যানেলকেই কাঠগড়ায় তুললেন শিল্পী৷ গতকাল ও আজ সকালে শিল্পীর পর পর দুটি পোস্ট বুঝিয়ে দিল এত তাড়াতাড়ি এই বিতর্কে ইতি পড়ছে না৷ বরং তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি, ‘যে যে পার করে নাও৷’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *