কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ থেকেই পথে নেমেছে বাস৷ কিন্তু সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস প্রায় অমিল৷ তাই লাইন দিয়ে সরকারি বাসে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের৷ আর সেখানে দূরত্ব বিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে৷ এই ছবি শুধু শহর কলকাতার নয়৷ বিভিন্ন জেলাতেও একই হাল৷ বাস চালাতে নারাজ মালিকপক্ষ৷ বাস কম থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা৷ তবে আজ ধর্মতলা থেকে কিছু দূরপাল্লার বাস ছেড়েছে৷
আরও পড়ুন- ফের দিল্লি সফরে শুভেন্দু, রাজনীতির অলিন্দে বাড়ছে জল্পনা
কলকাতা ৪ হাজার সরকারি বাস নামানো হয়েছে৷ বেসরকারি বাস চালানোর জন্য মালিক পক্ষকেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানালেন ফিরহাদ হাকিম৷ এদিন সকালে গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে ছাড়ছে সরকারি বাস৷ তবে সেখানে দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে তেমনটা নয়৷ এক যাত্রীর কথায়, ‘কিছু করার নেই৷ অধিকাংশ লোকই বেসরকারি ক্ষেত্রে কাজ করেন৷ অফিস থেকে আলাদা ভাবে কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও নেই৷ তাই মানুষ বাধ্য হচ্ছে এভাবে যেতে৷’
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের রাস্তায় সরকারি বাস-অটো চললেও নামল না মিনিবাস৷ কোচবিহারেও বন্ধ বাস পরিষেবা৷ অন্যান্য জেলাতেও বেসরকারি বাস প্রায় চলছে না৷ ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাস মালিকরা৷ গত ২ বছর ধরেই এই সমস্যার কথা জানিয়ে আসছেন তাঁরা৷ যে ভাবে তেলের দাম বেড়েছে তাতে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয় বলেই তাঁদের মত৷ তবে আজ রাজ্য সরকারের ছুটি থাকায় বাসে ভিড় অনেকটাই কমে দেখা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- বাংলা বঞ্চনার শিকার! ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রকে তোপ মমতার
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো মানে এই নয় যে বাসে ৫০ শতাংশ ডিজেল কম লাগবে। জ্বালানির দাম প্রতিদিন যে ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে এত কম ভাড়ায় বাস চালাব কি করে? তাই অধিকাংশ বাস মালিক রাস্তায় বাস নামাতে পারবেন না।” বাস না নামিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছেন বাস মালিকরা৷