চাঁচল: চাঁচলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু মৃত্যু ঘটনায় ছড়ালতীব্র চাঞ্চল্য। হাসপতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রের কর্মীদের গাফিলতির কারণেই সদ্যজাতের মৃত্যুর অভিযোগ। রাতেই মৃত শিশুকে নিয়ে চাঁচল থানায় দ্বারস্থ পরিবারের সদস্যরা। জন্মের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নবজাত শিশুটিকে। সেখানেও পরিস্থিতির অবনতি হলে অন্যত্র চিকিৎসার নির্দেশ দেন হাসপতালের চিকিৎসকেরা।
কিন্তু অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্সের টিকিট নেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুসন্ধান কেন্দ্রে গেলে দেখা যায় কর্মী শূন্য অনুসন্ধান কেন্দ্র। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কর্মীদের ডাকাডাকি করা হলেও কারও দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ৷ তারই জেরে কার্যত অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় হাসপাতালে করিডরেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সদ্যজাত৷ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান নিহত শিশুর পরিবার ও অন্য রোগীর পরিজনেরা৷
জানা যায়, হরিশচন্দ্র পুরের রারিয়াল গ্রামের সামিউল হকের স্ত্রী মাজেনুর বিবি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বৃহস্পতিবার হরিশচন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। বিকেলে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় মাজেনুর। কিছুক্ষন বাদেই ওই শিশুর শুরু হয় স্বাসকষ্ট। নিয়ে আসা হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা পরেও শারীরিক অবনতি ঘটতে থাকে নবজাতকের৷ এরপরেই অন্যত্র চিকিৎসার পরামর্শ দেন কর্মরত চিকিৎসকেরা। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি কর্মীদের গাফিলতিতে৷
রাবিয়াল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বলছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার কথা৷ এখন প্রতিটি হাসপাতালও আগের চেয়ে অনেক বেশি অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে৷ তবু যদি কর্মীরা গাফিলতি করেন, তাহলে আমরা গরিব মানুষেরা কোথায় যাব বলুন৷’’ অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমার মতো আর কেউ যেন পুত্রহারা না হন৷’’