‘কেউ যেন ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়’, সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

‘কেউ যেন ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়’, সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

 

ক্যানিং: দুর্যোগ কাটতেই ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন তাঁর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা৷ যশ মোকাবিলায় এদিনের বৈঠকে জেলার আধিকারিকদের থেকে সমস্ত তথ্য নেন মুখ্যমন্ত্রী৷  দফতরের আধিকারিকদের ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন যশ পরবর্তী রিভিউ বৈঠক৷

জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫৫টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তা৷ আশ্রায় হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ ৪০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হয়েছে। ১৬০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নষ্ট হয়েছে। ১৮৮টি ব্রিজ, কালভার্ট, ইলেকট্রিক পোস্ট, স্কুল নষ্ট হয়েছে। তবে ঝড়ের আগে ২ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩৫৪ রিলিফ ক্যাম্প হয়েছে। এদিন সেই রিলিফ ক্যাম্পগুলিতেই খাবার এবং পরিমাণমত জল পৌঁছানোর নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি ত্রাণ শিবিরে যেন বেবি ফুড, ওষুধ, ত্রিপল দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। মানুষ যেন বিপদে না পড়ে, কারও যেন কোনও অভিযোগ না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, পাম্পিং করে কৃষি জমি থেকে সব জল বের করতে হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য স্বর্ণমৎস্য স্কিম রয়েছে৷ সেটাও কাজে লাগাতে হবে। অনেক ক্ষতি হয়েছে, তাই উদ্ধারকার্য ভাল করে করতে হবে৷ যশের প্রভাবে সাগরের অবস্থা খুবই খারাপ৷ সেখানে রিভিউ করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। দুয়ারে ত্রাণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী মাসের তিন তারিখ থেকেই কার্যকর করা হবে। যতটা ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করার চেষ্টা তো হবেই আর এবার বাঁধের কাজ ঠিক করে করতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *