করোনার ধরা-ছোয়ার বাইরে উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম! কীভাবে সম্ভব?

 ভারতে বেলাগাম করোনা। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৮ হাজার। বাংলার করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বাংলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সংখ্যা থেকে মাত্র তিন কম। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নজর কেড়েছে উত্তরবঙ্গের একটি গ্রাম। শুধু সচেতনাকে ভরসা করে এই গ্রামে করোনার থাবা এখও প্রবেশ করতে পারেনি। করোনাকে রুখতে সদা সতর্ক গ্রামবাসীরা। 

 

শিলিগুড়ি:  ভারতে বেলাগাম করোনা। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৮ হাজার। বাংলার করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বাংলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নজর কেড়েছে উত্তরবঙ্গের একটি গ্রাম। শুধু সচেতনাকে ভরসা করে এই গ্রামে করোনার থাবা এখও প্রবেশ করতে পারেনি। করোনাকে রুখতে সদা সতর্ক গ্রামবাসীরা। 

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসে কাদের সম্মানিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী? তুঙ্গে প্রস্তুতি

মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সংলগ্ন একটি গ্রাম। এই গ্রামটি মূলত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম অবস্থিত। এই গ্রামে মাত্র ৯৪টি পরিবার রয়েছে। ২২ মার্চ থেকে লকডাউন সারা দেশের সঙ্গে এই গ্রামেও লকডাউন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু সারাদেশে আনলক পর্ব শুরু হলেও জলপাইগুড়ি জেলার তরিবাড়ি গ্রামে এখনও চলছে লকডাউন৷ যাতে বাইরের কেউ গ্রামে ঢুকতে না পারে তার জন্য গ্রামের সীমান্তে সদা সতর্ক প্রহরী। খুব প্রয়োজনে গ্রামবাসীদের বাইরে যেতে গেলে, গ্রামে ঢোকার আগে ওই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ স্যানেটাইজড করা হয়৷

আরও পড়ুন- এবার DM, SDO, BDO-দের ‘নম্বর’ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী! শুরু কড়া ‘নজরদারি’ চর্চা!

তরিবাড়ি গ্রামোন্নয়ন সমিতির সম্পাদক ইউডেন লেপচা বেশ গর্বের সঙ্গেই বললেন, উত্তরবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের সুরক্ষা আমাদের নিতে হবে। তাই গ্রামের মধ্যে কড়া লকডাউন চলছে। শুধু তাই নয়, বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর ফল আমরা পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত গ্রামের কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। যতদিন সম্ভব এইভাবে গ্রামের মধ্যে কড়া লকডাউন চালিয়ে যাব৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *