হেফাজতের শেষে ফের হেফাজত, আাপতত মুক্তি নেই অনুব্রতর! আছেন অনুব্রত কন্যাও

হেফাজতের শেষে ফের হেফাজত, আাপতত মুক্তি নেই অনুব্রতর! আছেন অনুব্রত কন্যাও

নয়াদিল্লি: দুই দিন আগে দিল্লিতে মধ্যরাতে তাঁকে দেখা গেছিল হুইল চেয়ারে। সে এক টান টান নাটক। যা  শেষ হল ১০ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের মধ্য দিয়ে। আবার সেই ১০ মার্চ এল। তিনি ভাবলেন এবার হয়ত মিলবে স্বস্তি। কিন্তু কই, ফের যে হেফাজতেই অনুব্রত মণ্ডল। দুই দিনের মেয়াদ বেড়ে হল ১১। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ছিল এদিনের শুনানি। যেখানে জানান হল, আরও ১১ দিন অনুব্রতকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাবাদ করবে ইডি। মামলায় রকমারিও এল। যেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোয়েন্দারা জানালেন।

•    প্রথমত, অনুব্রতর গরুপাচার মামলার বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক
•    দ্বীতিয়ত, সেই অভিযুক্তরা বাংলাদেশে পলাতক
•    তৃতীয়ত, বাংলাদেশেই গেছে গরু পাচার সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি
•    চতুর্থত, অনুব্রত মণ্ডল মামলায় জড়িত ১২ জনকে তলব করতে হবে

 

এই ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সূত্রের খবর, অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডির আধিকারিকরা। যথারীতি অনুব্রতর ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন। তাঁর প্রশ্ন কীসের ভিত্তিতে এই রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে? এই দুই দিনে মাত্র দু ঘণ্টা কেন তাঁকে জেরা করা হয়েছে।
 

পাল্টা ইডির আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্তের জন্য বাংলা জানা লোক খুঁজতে হয়েছে। তাঁকে চিকিত্সার জন্যও নিয়ে যেতে হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে তিনি জেরার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। যা সম্পূর্ণ এখনও হয়নি।
সবমিলিয়ে মামলা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। পাশাপাশি দীর্ঘ হচ্ছে অনুব্রতর হেফাজতের মেয়াদও। তবে, যে বিষয় ঘিরে জল্পনা, তা হল অনুব্রত ও তাঁর মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা। যে জেরা কোনদিকে এগোবে সেই নিয়ে জট থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি, জেরা করা হতে পারে অনুব্রতর ব্যক্তিগত হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি সহ বেশ কয়েকজনকে। গরু পাচার কীভাবে হত, পাচারের টাকা কার কাছে যেত,এসব খুঁজে বের করতেই তদন্তে গতি আনছে ইডি। জেরা দেরি করার যে অভিযোগ অনুব্রতর আইনজীবী তুলেছেন। তা সরাসরি নাকোচ করেই তাই আদালত অনুব্রতর হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল। যদিও, সেদিন দিল্লিতে যে অনুব্রতকে হুইল চেয়ারে দেখা গিয়েছিল. ১০ মার্চ সেই অনুব্রতকেই কিছুটা সুস্থ দেখাল। হয়ত চিকিত্সায় সাড়া দিয়েছেন বীরভূমের এক কালের দাপুটে সেই নেতা। ইডির হেফাজত অনুব্রতকে সুস্থ রেখেই তদন্তে গতি বাড়াতে চায় তা এককথায় স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *