কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়নের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রক্ত ঝরেছে বাংলায়। একাধিক জায়গা থেকে মৃত্যুর খবরও এসেছে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে পুলিশের তরফ থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে কোনও মৃত্যুর উল্লেখ নেই। এদিকে কমিশনে প্রায় ৫ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে বলেও খবর, যেগুলি অবশ্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
ক্যানিং থেকে শুরু করে ভাঙড়, চোপড়া… সব জায়গা থেকেই মৃত্যুর খবর এসেছে। তাছাড়া বোমাবাজি, গুলি চালানো, ভাঙচুরের মতো ঘটনা তো আছেই। তা সত্ত্বেও পুলিশের রিপোর্টে কেন কোনও মৃত্যুর তথ্য দেওয়া নেই তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই রিপোর্টেই রাজ্যে ৩০টি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ৩০টি বন্দুক সহ ৫০টিরও বেশি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ তাদের রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা জামিন অযোগ্য ধারায় ১ হাজার ৮০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। সব পাশে রেখে কমিশন এখন মৃত্যুর তথ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে খবর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর চোপড়া। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। Panchayet Election” width=”853″>
রাজ্যের বিরোধী পক্ষ শুরু থেকেই হিংসার অভিযোগ তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রতি জায়গায় তারাই অশান্তি সৃষ্টি করেছে বলে দাবি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু লাগাতার হিংসার ঘটনার কথা সামনে আসায় কলকাতা হাইকোর্ট গতকালই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। সব জেলাতেই বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে জানান হয়েছে।