কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছিল। পড়ুয়াদের একাংশ এই নিয়ে আপত্তি দেখালেও সদ্য নিযুক্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছিলেন, তৎপরতার সঙ্গে ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। কিন্তু ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ২০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও এই নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। উল্টে এই ইস্যুতে সরকারি সংস্থার দিকে আঙুল তুললেন যাদবপুরের উপাচার্য।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের৷ তার বাড়ি নদিয়ায়৷ এই ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জোরালো হয়। অভিযোগ ওঠে, ইউজিসি-র নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়নি৷ সেই থেকেই সিসি ক্যামেরা নিয়ে তৎপরতা দেখানো শুরু হয়েছিল। ক্যাম্পাস এবং হোস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছিলেন খোদ উপাচার্য। কিন্তু কোথায় সবকিছু? উপাচার্য যেদিন সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন তার পরে ছ’দিন কেটে গেলেও যাদবপুর মেন হস্টেলের মূল ফটক বা অন্যত্র কোনও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ক্যাম্পাস ও হস্টেলের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সমস্ত জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে। আপাতত মোট ২৬টি সিসি ক্যামেরার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার এই ইস্যুতে উপাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানান, তারা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তারা সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারেন না। যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটি সরকারি সংস্থা। এ বার তারা কী করছে, সেটা তাদের ব্যাপার।