কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত খারিজ করা হল৷ বদলে গ্রুপ ডি নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছিল কিনা, হলে তা কী ভাবে হয়েছিল, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বিশেষ তদন্তকারী দল৷ অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে রাখা হবে এই বিশেষ তদন্তকারী দলের মাথায়৷ সোমবার এমনই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন- তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে দুয়ারে রেশন ক্যাম্প! বিতর্ক দলের অন্দরেই
এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত ভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। সোমবারের শুনানিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ৷ সিবিআই-এর বদলে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথা বলা হয়৷ যাঁরা গ্ৰুপ-ডি নিয়োগ মামলার তদন্ত করবে৷ দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ হাই কোর্টের।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রচুর নিয়োগ হয়েছে৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়৷ প্রাথমিক ভাবে রমিশনের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল৷ কিন্তু কমিশন আদালতকে জানায়, তারা ওই নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ করেনি। এর পরেই উঠে আসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নাম। যদি ও আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেন পর্ষদের আইনজীবী। তাঁর পাল্টা দাবি, পর্ষদ নিজে থেকে কোনও নিয়োগ করেনি। কমিশনের সুপারিশ মেনেই যাবতীয় নিয়োগ হয়েছে৷ এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গের বেঞ্চ৷ কিন্তি সোমবার সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়৷
পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, তদন্ত চলাকালীন যাঁদের চাকরিতে যোগদান করা থেকে বিরত রেখেছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ, তাঁরা আরও ২ মাস কাজ করতে পারবেন এবং তাঁদের বেতন বন্ধ করা যাবে না। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরই তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আদালত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ করা চাকরিরত ওই গ্রুপ ডি কর্মীদের ওপর অবিচার বলে মন্তব্য বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের।