বোলপুর: অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতা আগেই তৈরি হয়েছিল৷ এবার করোনা আবহে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা৷ দোল পূর্ণিমা দিন আর হবে না বসন্ত উৎসব৷ আজ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
গত বছর দোল পূর্ণিমার দিন বসন্ত উৎসব করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷ মামলার গেরোয় পৌষমেলা নিয়েও আপত্তি ছিল বিশ্বভারতীর৷ কিন্তু, রাজ্যের হস্তক্ষেপে গতবছর দোল যাত্রায় উৎসব হলেও এবার তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷ ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা৷
আজ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবছর ৭ পৌষ, পৌষ মেলা শুরু হয়, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে পৌষ মেলা চলে, সেই মেলা আর করা হবে না৷ অনির্দিষ্টকালের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর পৌষ মেলার আয়োজন করবে না৷ পাশাপাশি দোল পূর্ণিমার দিন ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব শান্তিনিকেতন আর হবে না৷ কেননা, এই উৎসবে বহু বহিরাগত ও প্রাক্তনীরা অংশ নেন৷ কিন্তু সেই দোল পূর্ণিমার দিনে দোল উৎসব আর হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে নিয়মমাফিক যতটুকু হওয়া প্রয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় নামেমাত্র উৎসব পালন করবে৷ অর্থাৎ বড় হবে আর কোনও উৎসব বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস হবে না৷
কিন্তু, কেন এই উৎসব হবে না? বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাফেরা, উৎসব উপলক্ষে অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটছে৷ রয়েছে স্থানীয়দের বাধা৷ তাতে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য কালিমালিপ্ত হচ্ছে৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষ মেলার সুচনা করেছিলেন৷ তারপর থেকে সেই মেলা চলে এসেছে৷ মাঝে কয়েকবার ছেদ পড়লেও দীর্ঘদিন পৌষ মেলা চলে আসছে৷ এই পৌষ মেলাকে কেন্দ্র করে নানা রকম অশান্তি, পরিবেশ আদালতে মামলা, ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, হোটেলে নানান অনিয়ম, দেহ ব্যবসার মতো অভিযোগও উঠেছে৷
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে খোলা বার্তা দিয়েছেন, নানা সমস্যার বিষয় উল্লেখ করে পৌষ মেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও বসন্ত উৎসব আর হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷