কালিয়াগঞ্জ: বাংলায় সন্ত্রাসের শেষ হবেই। মহামান্য উচ্চ আদালত যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে তাকে আমরা সম্মান করি। আমাদের বিশ্বাস আইন আইনের পথে চলবে। ফলে বাংলায় পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালিবানদের যে অত্যাচার শুরু হয়েছে, সেখানে যেসব ভারতীয়রা আটকে রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এবং দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ যাতে কোনওভাবে সন্ত্রাস মূলক কাজ মাথাচাড়া না দিতে পারে৷ বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জে শহিদ সন্মান যাত্রায় এসে এমনি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য পুলিশকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি সিবিআই এবং সিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ ইতিমধ্যে সিবিআই এবং সিটের তরফে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুও করা হয়েছে৷ এই আবহে নিশীথের বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের মতে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে বাংলার হিংসার ঘটনায় আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্যের মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতাদের একাংশের নাম রাখা হয়েছিল ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী তালিকায়’৷ ‘আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে আদতে কি সেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন নিশীথ আপাতত তা নিয়েই চলছে জল্পনা৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, প্রত্যেকটি শহিদ পরিবারের পাশে থাকব আর যে অঙ্গীকার আমরা করেছিলাম সেটা পূরণ করার লক্ষ্যে শহিদের পূর্ণ জন্মভূমিকে প্রণাম করে আগামী দিনে বাংলায় পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করেছি। এবং সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলছি। তিনি বলেন এই লড়াই করতে গিয়ে বহু বাধার সম্মুখীন হয়েছি আমরা। কিন্তু আমরা সমস্ত বাধাবিঘ্নকে উপেক্ষা করে এই পথ অতিক্রম করে চলছি। গত ১৭তারিখ শিলিগুড়ি থেকে এই সহিত সম্মান যাত্রা শুরু হয়েছিল।