কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (জন্ম ১৯ অক্টোবর ১৯২৪ – মৃত্যু ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮) জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুর জেলায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন দৈনিক ‘প্রত্যহ’ পত্রিকায়। একসময় যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায় এবং ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকাটি তিনি সম্পাদনাও করেছেন।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, কবি জীবনানন্দ দাশ পরবর্তী বাংলা কবিতার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বিংশ শতকের ৫০এর দশকে তাঁর নাম উঠে আসে সমর সেন, সুনীল গঙ্গেপাধ্যায়, মনীন্দ্র রায়, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়, কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত, রাম বসু প্রমুখ কবিদের সঙ্গে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নীল নির্জন’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে নীরেন্দ্র চক্রবর্তী নামে, সিগনেট প্রেস থেকে, যার প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “নীল নির্জন” (১৯৫৪), “অন্ধকার বারান্দা” (১৯৬১), “নিরক্ত করবী” (১৯৬৫), “নক্ষত্রজয়ের জন্য” (১৯৬৯), “কলকাতার যীশু” (১৯৬৯), “উলঙ্গ রাজা (১৯৭১)”, “খোলা মুঠি” (১৯৭৪), “কবিতার বদলে কবিতা” (১৯৭৬), “আজ সকালে” (১৯৭৮), “পাগলা ঘন্টি” (১৯৮১), “ঘর-দুয়ার” (১৯৮৩), “সময় বড় কম” (১৯৮৪), “রূপ-কাহিনী” (১৯৮৪), “যাবতীয় ভালোবাসাবাসি” (১৯৮৬), “ঘুমিয়ে পড়ার আগে” (১৯৮৭), “জঙ্গলে এক উন্মাদিনী” (১৯৮৯), “আয় রঙ্গ” (১৯৯১), “চল্লিশের দিনগুলি” (১৯৯৪), “সত্য সেলুকাস”
(১৯৯৫), “সন্ধ্যারাতের কবিতা” (১৯৯৭), “অন্য গোপাল” (১৯৯৯), “জলের জেলখানা থেকে” (২০০০), “সাকুল্যে
তিনজন” (২০০০), “কবি চেনে সম্পূর্ণ চেনে না” (২০০১), “দেখা হবে” (২০০২), “ভালবাসা মন্দবাসা” (২০০৩),
“মায়াবী বন্ধন” (২০০৪), “জ্যোত্স্নায় একেলা” (২০০৬) প্রভৃতি।
রয়েছে শিশুদের কবিতা সংকলন “শাদা বাঘ”, ছড়ার বই “বিবির ছড়া” প্রভৃতি। রয়েছে “পিতৃপুরুষ” (১৯৭৩)
নামক উপন্যাস, “কবিতার ক্লাস” (১৯৭০) নামক কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “পাঁচশো বছরের কিশোর কবিতা” (১৯৮৮, কবি সরল দে-র সঙ্গে), আবৃত্তির শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৮, কবি কালিদাস ভদ্রের সঙ্গে) প্রভৃতি।