সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি, দত্তপুকুরকাণ্ডে পদক্ষেপ

দত্তপুকুর: রবিবার সকালে বিস্ফোরণ হয় বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চলে। ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আপাতত খবর মিলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে পুরোদমে। জানা গিয়েছে, নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি কারখানা চলে এসেছে। কিন্তু পুলিশ উদাসীন ছিল। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তাতে ভেঙে পড়ে একটি দোতলা বাড়ি। বিস্ফেরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি। এদিকে আবার সোমবারই যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে তার থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অন্য এক অবৈধ ‘বাজি’ কারাখানার হদিশ মিলেছে যা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। কারখানার হদিশ মেলার পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালান। তারা দাবি করেছেন, রোজ এই রাস্তা নিয়ে গেলে বারুদ এবং রাসায়নিকের ঝাঁঝালো গন্ধ আসত। এখানেও পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সোমবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত আড়াই-তিন মাসের মধ্যে এই এলাকায় অনেক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও যে একটি অবৈধ কারখানা তাতে দামি দামি যন্ত্রও ব্যবহার করা হত। স্থানীয় বাসিন্দারা এও জানাচ্ছেন, এখন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতেই ওই কারখানার সব শ্রমিক পালিয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদের শ্রমিকরাই বেশি ওখানে কাজ করত বলে খবর। কিন্তু এই কারখানার মালিক কে, সে সম্পর্কে অবহিত নন স্থানীয়রা।