কলকাতা: নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার এনআইএ বিশেষ আদালতে চার্জশিট দিতে আদালতে হাজির হয়েছিল এনআইএ। ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে তদন্তভার নেয় এনআইএ। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল তাতে রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন সহ ২২ জন গুরুতর আহত হন। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএস সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আজ সেই মামলায় চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ।
আরও পড়ুন- ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ফর্মে নয়া বিধি, দুর্নীতি রুখতে আরও কড়া নবান্ন
আদালতে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে শক্তিশালী আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল এবং নিশানায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন সহ তার ৭০ জন অনুগামী। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ২ জনের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ১৬, ১৮ ও ২০ ধারায় অভিযাগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরণ আইনের ৩,৪ এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭, ৩২৬, ১২০বি ও ২০১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন ১২০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ। উল্লেখ্য, যেদিন এই বোমাবাজির ঘটনা হয় সেদিন স্টেশন চত্বরে একটি কালো ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগ সরাতে গিয়ে এই বোমা ফেটে যায়। পরবর্তী সময়ে অনুমান করা হয় যে, রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। এই ঘটনায় মন্ত্রীসহ তাঁর ২২ জন অনুগামী গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ‘কার কার বাবা-মাকে জন্ম দিয়েছিলাম?’ ‘দাদু’ সম্বোধনে ক্ষিপ্ত তথাগত, বিঁধলেন সায়নীকেও
আগে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এক বাংলাদেশিকে। জানা গিয়েছে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে স্টেশন চত্বরে হকার ছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান ছিল, বোমা বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগে থেকে স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ওই হকার। ঘুরে বেড়ানোর ছকে আদতে স্টেশনে নিরাপত্তা এবং বিস্ফোরণ ঘটানোর পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা করছিল সে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর নিমতিতা, দ্বিতীয় কোনও বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ।