কলকাতা: আল কায়েদার ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। ধৃতের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে ওই সন্দেহভাজন আল-কায়েদার ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর৷
সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম আবদুল মোমিন মণ্ডল৷ বয়স ৩২ বছর, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা৷ পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার আল-কায়েদার মামলায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ উল্লেখ্য, এই ব্যক্তি দেশের সন্দেহভাজন আল-কায়েদার শাখার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আবদুল মোমিন তাদের মধ্যে নবম ব্যক্তি৷ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্তকারী সংস্থাটি ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১০ জনের বেশি জেহাদির বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করে৷ সংস্থার অফিসারদের মতে, সন্ত্রাসবাদীরা বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা দ্বারা অনুপ্রাণিত৷ এরা পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি এবং কেরালার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী কাজ চালানোর পরিকল্পনা করছে৷
NIA-র তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, যে অভিযুক্ত আবদুল মোমিন মণ্ডল মুর্শিদাবাদ জেলার রায়পুর দুরুর হুদা ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক৷ আল-কায়েদা জঙ্গি দলের সদস্যদের ডাকা একাধিক ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকে সে উপস্থিত ছিল৷ এও অভিযোগ আবদুল এই গ্রুপের জন্য নতুন সদস্যদের নিয়োগেরও চেষ্টা করে সে৷ জঙ্গিগোষ্ঠীর বিভিন্ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহও আবদুল করে বলে খবর৷ রবিবার আবদুলের বাড়ি তল্লাশি করে NIA ডিজিটাল ডিভাইস এবং অন্যান্য অনেক কিছু বাজেয়াপ্ত করেছে৷ এই মামলায় এখনও পর্যন্ত NIA-র হাতে ১১ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে৷ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সন্দেহযুক্ত যোগাযোগের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৮ জন এবং কেরালে আরও ৩ জন NIA-র ব়্যাডারে রয়েছে৷ অভিযুক্ত আবদুল মোমিন মণ্ডলকে সোমবার মুর্শিদাবাদে জেলা আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং তাকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে NIA পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবদুল মোমিনকে গ্রেফতারে পর সরব হয়েছে বিজেপি। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গী এ নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন। টুইটারে গিয়ে তিনি লেখেন, “NIA ভারতকে সুরক্ষিত রাখতে একটি দুর্দান্ত কাজ করছে। তবে তাদের কাজটি কঠিন। মমতার সরকার মেরুকরণ ও তুষ্টকরণ নীতি গ্রহণ করেছে যা সমাজকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এবং সমগ্র ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।”