কলকাতা: কমিশনের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় মন্ত্রী-বিধায়ক সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা৷ নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ, শেখ সুফিয়ান, পার্থ ভৌমিক, শওকত মোল্লা, জীবন সাহার মতো নেতা মন্ত্রীর৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে এই নেতা ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বা ‘গুণ্ডা’
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান, ইচ্ছাপ্রকাশ মমতার
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্যকে ছত্রে ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে রয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম৷ জায়গা উল্লেখ করে ‘গুণ্ডা’ বা ‘দুষ্কৃতী’দের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ যেমন ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লা, বসিরহাটে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মূল নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবার কলকাতায় উমা দাস, দিনহাটার ক্ষেত্রে নাম রয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহর৷ তালিকায় আছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়দেব ঘোষ, বিধায়ক খোকন দাস৷ কমিশনের রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেতে যে সকল জায়গায় কমিশনের টিম গিয়েছিল সেখানকার পরিসস্থিত দেখে এবং যে যে রিপোর্ট তাঁদের হাতে এসেছে তা খতিয়ে দেখার পরেই দুষ্কৃতীদের নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে৷ এই রিপোর্টই কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া হয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক বলেন, এই রিপোর্ট উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ আমার বিরুদ্ধে একটা মাছি মারার মামলাও নেই৷ সে ক্ষেত্রে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় আমার নাম দেখেই বোঝা যায় এই রিপোর্ট কতটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ এটা কেন্দ্রের চক্রান্ত৷ রাজনৈতিক ভাবে পরাস্ত করতে পারেনি বলেই এ সব করছে৷ এর কোনও মূল্য নেই৷
উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছিলাম৷ যাঁরা আক্রমণ করেছিল মানবাধিকার কমিশন তাঁদের বাড়িতে গেল৷ অথচ আমার বাড়িতে আসার প্রয়োজন বোধ করল না৷ সেদিনই বলেছিলাম এদের রাজনৈতিক চরিত্র ও নিরপেক্ষতা কতখানি৷ এই তালিকায় কার নাম রয়েছে তা নিয়ে কিছু যায় আসে না৷ আবার জীবন সাহা বলেন, এক পক্ষের কথা শুনে এই রিপোর্ট করা হয়েছে৷ এটা এক তরফা রিপোর্ট৷ কিছু বোঝার আগেই অভিযুক্ত হয়ে গেলাম৷ এর জবাব মানুষ দেবে৷
এই রিপোর্ট নিয়ে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ভারতের যে কোনও থানায় আমার নামে একটা অভিযোগ আগে দেখাক৷ কমিশন ভুল তথ্য হাইকোর্টে জমা দিয়েছে৷ দল যা বলবে, সেই মতো পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব৷