খেজুরি: ৮ মার্চ মানে আজকে নারী দিবস৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীদের সম্মান দেওয়ার খবর আসছে৷ ঘরের বাইরে কর্মজগতে তারা যে সমান পারদর্শী, সেই বার্তাই বিভিন্ন মহল থেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কোথাও পুলিশের সমস্ত দায়িত্ব এক দিনের জন্য মেয়েদের হাতে সঁপে দেওয়া হচ্ছে তো কোথাও শুধু মেয়েদের অধীনে একদিন রেখে হচ্ছে রেলের একটা দপ্তর৷ এই সময় রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে এল মর্মান্তিক খবর৷
কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে গৃহবধূকে কেরেসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানা পূর্ব চড়া গ্রামে। অগ্নিদদ্ধ গৃহবধূকে কলকাতার একটি সরকারী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।গৃহবধুর বাপের বাড়ি অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক হলেও শুক্রবার শ্বশুর হারাধন মান্নাকে খেজুরি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গেছে, গত চার বছর আগে চন্ডীপুরের মৌমিতার সঙ্গে শঙ্করের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। এরপর থেকেই গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা বলে অভিযোগ।
গত ৩ মার্চ সকালে গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা অভিযোগ। গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার করে খেজুরি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।পাশাপাশি বাপের বাড়ি চন্ডীপুর খবর পাঠায় প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরে বাপের বাড়ি সদস্যরা খেজুরি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে হাজির হয়।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার এক সরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সকালে গৃহবধুর মা লক্ষ্মী গিরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করে।শনিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
খেজুরি থানার ওসি সত্যজিৎ চানক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।কিন্তু স্বামী সহ পরিবারের বাকী সদস্যরা পলাতক। তাদের ধরতে জোরদার তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।