ডায়মন্ডহারবার: গড়িয়াহাটে কাঁকুলিয়া জোড়া হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়৷ বিশেষ তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে ডায়মন্ডহারবারে খালে নামানো হল ডুবুরি।
কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও তার গাড়ির চালক খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার মা মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীদের কাছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, জেরায় ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে যে খুনের পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে সুবীর চাকির মোবাইল ফোন নিয়েছিল ভিকি৷ গড়িয়াহাট থেকে ট্রেনে করে ডায়মন্ডহারবারে পৌঁছায় ভিকি ও তার সঙ্গীরা। তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে ভিকি সুবীর চাকরির মোবাইল ফোন ডায়মন্ডহারবারের ক্রিক খালে ফেলে দেয়।
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, সুবীর চাকির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে, এই ঘটনার খুনের সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে আরও একাধিক তথ্য মিলতে পারে৷ ভিকির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে হোমিসাইড শাখার পুলিশ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ মোবাইল ফোন উদ্ধার করার জন্য অন্যতম অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে আসে। ভিকি খুনের পর কোন জায়গায় ফোনটি ফেলেছে তা চিহ্নিত করে দেয়।
ইতিমধ্যে সেখানে নামানো হয়েছে দুজন ডুবুরি৷ তাঁৎা জলে নেমে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন৷ প্রায় দু’ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর পরও মোবাইলের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ ফলে ক্ষণিকের বিশ্রামের জন্য ডুবুরিরা উঠে এসেছেন৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ফের তল্লাশিতে নামানো হবে তাঁদের৷ তবে সংশ্লিষ্ট খালটিতে জলের স্রোত বেশি থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ডুবুরিদের৷
