new trend
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা সিনেমায় অভিনয় করলেন মদন মিত্র। যা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সিনেমায় দেখা গিয়েছে চলচ্চিত্র জগতের বাইরে থাকা মানুষজন অভিনয় করছেন। কখনও খেলোয়াড়, কখনও রাজনীতিবিদ, একাধিক পেশার ব্যক্তিদের সিনেমায় বহুবার অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। টলিউড বা বলিউড, এই ধারা সব জায়গাতেই দেখা গিয়েছে। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের ‘মালামাল’ ছবিতে একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকার। এছাড়া হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে। টলিউডেও এই উদাহরণ আছে। অতীতে বাংলা সিনেমায় বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ফুটবল জগতের সুব্রত ভট্টাচার্য বা পিকে ব্যানার্জিকে।
তবে সেগুলি নিয়ে কিন্তু ততটা চর্চা হয়নি। কিন্তু বাংলার ফুলটাইম রাজনীতিবিদদের কাউকে সিনেমায় দেখলে সেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চর্চা হয়ে থাকে। যেমন চর্চা শুরু হয়েছে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও তাঁর অভিনীত ছবি ‘ওহ লাভলি’ নিয়ে। শুধু মদন মিত্র কেন, অতীতে রূপোলি পর্দায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রতীম চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়া তিন দশকের বেশি সময় আগে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ‘চৌধুরী ফার্মাসিউটিক্যালস’ নামে একটি টিভি সিরিয়ালে। সেই টিভি সিরিয়াল নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল বঙ্গ সমাজে। কিছুদিন আগেই রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অভিনীত ‘আবার প্রলয়’ ওয়েব সিরিজে মুক্তি পেয়েছে। এই ওয়েব সিরিজটির পরিচালনা করেছেন রাজ চক্রবর্তী। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ‘শূন্য হৃদয়’ নামে একটি ছবিতে দরিদ্র পিতার ভূমিকায় অভিনয় করছেন, যার শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজনীতিতে নামার আগেই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখনও তিনি নাটক বা ছবি জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এখন প্রশ্ন, কোনও কোনও পরিচালক রাজনীতিকদের সিনেমায় কেন সুযোগ দেন? উত্তর একটাই, সেই ছবি নিয়ে যাতে বঙ্গ সমাজে আলোচনা হয় সেটাই তার প্রধান কারণ। এতে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই হিট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকে বলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকজন মনে করেন। বর্তমানে মদন মিত্রের মতো ‘কালারফুল’ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে নেই। তিনি একটি ছবিতে অভিনয় করছেন মানে সেটি নিয়ে চর্চা হতে বাধ্য। অনেকেই আগ্রহ করে সেটি দেখতে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই ৭০ টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘ওহ লাভলি’ ছবিটি। ঘটনা হল মদন মিত্রের ‘ওহ লাভলি’ গান এর আগে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই নামেই এবার ছবি বানিয়েছেন হরনাথ চক্রবর্তী। তাই সেটি নিয়ে যে টলিউড জুড়ে চর্চা হবে এটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে এই ট্রেন্ড আগামী দিনেও দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন রাজনীতিককে আবার ছবির পর্দায় আগামী দিনে দেখা যাবে সেটা সময়ই বলবে।