কলকাতা: শুক্রবার নদীয়ায় মুকুল রায়ের করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো খই ফুটছে৷ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মুকুল রায় সত্যিই কি অসুস্থ, নাকি ফের ধোঁকা বানানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে৷
শুক্রবার কৃষ্ণনগরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুকুল রায় দাবি করেন, ‘‘কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচন হলে তৃণমূল পর্যূদস্ত হবে। বিজেপি স্বমহিমায় ফিরে আসবে।’’ দলের অন্দরে চাণক্য হিসেবে পরিচিত ‘রায় সাহেবে’র এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যেতে দেখা যায় স্থানীয় নেতাদের৷ যদিও এবিষয়ে মুকুল রায়ের মধ্যে কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি৷ তারই জেরে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে জল্পনা৷
একটি অংশের মতে, দাদা অভূতপূর্ব চাপের মধ্যে রয়েছেন। ছেলের ভোটে হারা, স্ত্রী বিয়োগ, পুরনো দলে ফিরলেও জনমানসে ভেসে বেড়ানো হাজারো কটুক্তির জেরে দাদা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত৷ তারই ফলে মাঝেমধ্যে অসংলগ্ন কথা বলে ফেলছেন। ওই অংশের আরও দাবি, দাদা বরাবর পর্দার পিছন থেকে ঘুঁটি সাজাতেই অভ্যস্ত৷ কিন্তু বিজেপি তাঁকে এবারে রীতিমতো প্রচারে নামিয়ে দিয়েছিল৷ তবু পারতপক্ষে সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়েই চলতেন মুকুল৷ কিন্তু একের পর এক ঘটনার জেরে দাদা মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়েই মাঝে মধ্যে উলটো পালটা বকে ফেলছেন৷
যদিও অপর অংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিধানসভা ভোটের পর দাদার পুরনো ঘরে ফেরা থেকেই স্পষ্ট যে তাঁর বিজেপিতে যাওয়াটা পুরোটাই গেম প্ল্যান ছিল৷ ফলে এক্ষেত্রেও তারা মনে করছেন যে পিএসি ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীদের চাপে ফেলতে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছেন রায় সাহেব৷ এবং এক্ষেত্রে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের প্রশ্রয়ও রয়েছে বলে মত ওই মহলের৷ একই রকম সন্দেহ করছে গেরুয়া শিবিরও৷ তবে আপাতত সকলেই, রায় সাহেবের মতিগতির দিকে নজর রাখছেন৷ সত্যি অসুস্থ নাকি কৌশলী অবস্থান – সেটা জানতে।