কলকাতা: অবশেষে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষক নিয়োগের বাধা কাটল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া মামলার জেরে আটকে ছিল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বাধা কাটিয়ে দিলেন। সংশোধিত রায়ে বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধীদের জন্য তিনটি শূন্যপদ ফাঁকা রেখে বাকি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে৷ ফলে, আদালতের এই রায়ে কাপাল খুলল ১৩৭৮ জন চাকরিপ্রার্থীর৷
চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
আদলতের এই রায় ঘোষণা হতেই সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে ভোলেননি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু হবে৷’’ সূত্রের খবর, আদালতের রায়ের নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর ঝুলে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝি অথবা নতুন বছরের শুরুতেই কাউন্সেলিং হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷
শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে ক্লিক করুন এখানে
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে এমনিতেই শিক্ষক সংকট চলছে। এর উপরে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক প্রার্থীর মামলার জেরে গেরো পড়েছিল নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে জটিলতা কাটল। শীঘ্রই রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে আটকে থাকা ১৩৭৮ জনের নিয়োগের কাজ ফের চালু হবে।
পর্ষদের সভাপতিকে চূড়ান্ত সতর্ক করলেন শিক্ষামন্ত্রী, কেন জানেন?
নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়৷ ওই বছরের শেষের দিকে লিখিত পরীক্ষা হয়৷ চলতি বছরের মার্চে সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ নবম ও দশম শ্রেণির শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ চলাকালীন বীরভূমের নীপেশ মাজি নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন৷ অভিযোগ, এসএসসি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের শূন্যপদের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে৷ তাই কোর্ট যেন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে৷ তখন বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন৷ ফলে ঝুলে যায় ১৩৭৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য৷ এর পর স্বর্ণালী বিশ্বাস সহ ২৩ জন সফল প্রার্থী পালটা দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের।
বেতন বৃদ্ধি ইস্যুতে বাজেট প্রস্তাবে কী ইঙ্গিত দিল অর্থদপ্তর?
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
তাঁদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য, বাংলা বিষয়ের সফল প্রার্থীদের তালিকায় মামলাকারী নীপেশ মাজির নাম রয়েছে ওয়েটিং লিস্টে৷ এ ছাড়া এসএসসি শূন্যপদের সংরক্ষিত আসনে যদি আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়, এর প্রভাব জেনারেল ক্যাটেগরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন পড়বে? সোমবার বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন৷ ফলে ১৩৭৮ জনের আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের গতি পেতে চলেছে হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে৷
SSC-র নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের গতিপ্রকৃতি:
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ ২০১৭ সালে পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়৷ ২০১৮, মার্চ নাগাদ প্যানেলভুক্ত তালিকা প্রকাশ করে কমিশন৷ ২০১৮-এর মাঝামাঝি সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ২০১৮-এর অগাস্টে মামলা দায়ের করেন শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী বীরভূমের নীতেশ মাজি৷ পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত৷ ২০১৮- সেপ্টেম্বর নাগাদ পালটা মামলা করেন প্যানেলভুক্ত ১৫ প্রার্থীরা৷ পরে, সোমবার তা প্রত্যাহ করা হয়৷