মমতার জন্য নতুন স্লোগান তৃণমূলের, লক্ষ্য ভবানীপুর

মমতার জন্য নতুন স্লোগান তৃণমূলের, লক্ষ্য ভবানীপুর

কলকাতা: ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’, এই স্লোগান পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মাস্টার স্ট্রোক ছিল। বলা যায় কার্যত এই স্লোগানের জোরেই বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে পেরেছে ঘাসফুল শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য আসন্ন উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তার জন্য নতুন স্লোগান নিয়ে এসে প্রচার শুরু করে দিয়েছে জোড়া ফুল শিবির।

ভবানীপুর উপনির্বাচন কেন্দ্রের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন স্লোগান, ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। এই স্লোগান তৈরি হয়েছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয় হিন্দ বাহিনীর পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে এই স্লোগান সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়ে গিয়েছে। উপনির্বাচন কবে হবে তা এখনও ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই এই পোস্টার এবং স্লোগান দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হননি, তিনি হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় যিনি জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন যার ফলে ভবানীপুরে উপনির্বাচন সংঘটিত হবে। এই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হবেন বলে কার্যত ঠিক হয়ে গিয়েছে, যদিও এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা কিছু হয়নি। তবে প্রচারে কোনো খেদ রাখতে রাজি নয় শাসক দল।

আরও পড়ুন- ‘উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হবে তৃণমূল’, মুকুলের মুখে উলোট পুরাণ!

পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারং বার বলা হচ্ছে যে রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই তাড়াতাড়ি যেন উপনির্বাচন সংঘটিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেকেই বলেছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য অনুকূল তাই শীঘ্রই উপনির্বাচন হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। যদিও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উপনির্বাচন সংক্রান্ত কোনো রকম ঘোষণা করা হয়নি। তবে উপনির্বাচন সংগঠনের বিরোধিতা করেছে বিজেপি শিবির কারণ তাদের মতে রাজ্য লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য, এদিকে উপনির্বাচন চাওয়া হচ্ছে তাদের তরফে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে!’ নতুন উদ্যমে প্রচার শুরু তৃণমূলের

‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে!’ নতুন উদ্যমে প্রচার শুরু তৃণমূলের

কলকাতা: ‘খেলা হবে’। এই বছর বিধানসভা নির্বাচনের আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের এই স্লোগান ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এই স্লোগান শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসে আবদ্ধ নেই, বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস, সিপিএম সকলেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এই স্লোগান রাজনৈতিক প্রচারে ব্যবহার করছে। গতকাল নন্দীগ্রামের গুরুতর আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আগামী দু-তিন দিন কোনরকম প্রচার করতে পারবেন না। এই প্রেক্ষিতে এবার নতুন উদ্যমে নিজেদের দলের প্রচার শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা। হাসপাতাল চত্বরে ব্যানার এবং পোস্টার নিয়ে পরোক্ষভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল বিরোধী দলগুলিকে। ‘সর্বভারতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যান্স ক্লাব’ যে নতুন স্লোগান তুলে প্রচার শুরু করেছে তা হল, “বন্ধু আবার আসছো কবে, ভাঙা পায়েই খেলা হবে!”

মূলত এই পোস্টার বা ব্যানার নিয়ে যারা প্রচার করছেন তারা তৃণমূল কংগ্রেসের লিগাল সেলের সদস্য। তারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত পায়ে হেঁটে সব জায়গায় প্রচার করেন। এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর পায়ে আক্রমণ করা হয়েছে। অনুগামীদের বক্তব্য, কিছুদিন আগে বিজেপি এক নেতা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছেন, এমন একটি ছবি শেয়ার করেন। তার দুদিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সুতরাং স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে এটি ষড়যন্ত্র, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে প্রচার করতে না পারেন সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, বিগত ১০ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন রাজ্যে তার খতিয়ান নিয়েই প্রচার শুরু হয়েছিল। এবার তাঁর ওপর আক্রমণ করে প্রচার বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু এইভাবে কিছু করা যাবে না।

আরও পড়ুন- ‘মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার পূর্বাভাস ছিল’, বিস্ফোরক দাবি পার্থর

এদিন ভিডিও বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাল তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলেন। সেই সময় প্রচন্ড চাপাচাপি হয়। মাথায় এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। চাপাচাপি হওয়ার কারণে ভিড়ের জন্য গাড়ির দরজা চেপে যায় বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, কাল প্রচন্ড জোরে লেগেছিলো এবং হাত, পা, লিগামেন্টে চোট রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর কর্মসূচি কিছুই নষ্ট করতে চান না। পায়ের সমস্যা থাকলেও তিনি ম্যানেজ করে নেবেন। এক্ষেত্রে আগামী কয়েকদিন হয়তো তাকে হুইল চেয়ারে ঘুরতে হতে পারে তাই তিনি সহযোগিতা চেয়েছেন। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এমন কিছু যেন না করা হয় যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। সকলে যাতে শান্ত এবং সংযত থাকে সেই অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *