কলকাতা: কলকাতা পুরভোটে সেই অর্থে ইস্তেহার প্রকাশ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং উন্নয়নের রূপরেখা দর্শাতে ‘কলকাতার ১০ দিগন্ত’ নামে কর্মসূচি প্রকাশ করেছিল তারা। একই ভাবে আসন্ন পুরনির্বাচনে ইস্তাহারের বদলে উন্নয়নের রূপরেখা প্রকাশ করল ঘাসফুল বাহিনী। বিধানগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগর, এই তিন জায়গার ‘ইস্তেহার’ একই সঙ্গে প্রকাশ করেছে তারা।
এদিন এই কর্মসূচি প্রকাশ করে জানান হয়েছে, তিন পুরসভাতেই চালু করা হবে ‘পাড়ায় সমাধান’ নামে বিশেষ অ্যাপ। রাস্তা থেকে জলনিকাশি যে কোনও সমস্যার ছবি ও তথ্য জিওট্যাগ সহ আপলোড করা যাবে এখানে এবং সেই প্রেক্ষিতে ১৪ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবে পুর প্রতিনিধি। এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। কলকাতার ভোটে নিকাশি আর জলের সমস্যা বেশি মাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আসন্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই জায়গায় আমল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ যখন এই কর্মসূচি প্রকাশ করা হচ্ছে তখন শিলিগুড়িতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। অন্যদিকে, চন্দননগরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল রায়, বিধাননগরে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ।
তবে বাকি পুরভোট আদতে নির্ধারিত দিনে হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। পুরভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনো যায় কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন করেছে আদালত। চার পুরনিগমের ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার জানায়, করোনা পরিস্থিতি ভোট করানো যায় কি না, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করুক কমিশন। এই সময় ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট কি সম্ভব হবে? এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক কমিশন৷